ডেটিং পার্টনারদের টাকায় ৯ দেশ ভ্রমণ, লাখ লাখ টাকার শপিং
ইতালি, বার্বাডোজ়, ফিলিপিন্স সহ ন’টি দেশ। দুবাইয়ে ক্যামেল ট্রেকিং থেকে হংকং-এ শপিং। ২৫ বছর বয়সেই তাঁর প্রোফাইলে যুক্ত হয়েছে এই অভিজ্ঞতা। কিন্তু, ভাবতেই পারেন এতে অবাক হওয়ার কী আছে? বাবা হয়তো শিল্পপতি বা বড়সড় কোনও ব্যবসায়ী? কাজের সূত্রে এদেশ, ওদেশ করতে হয়। আর সেখানেই বাবার সঙ্গী হন মেয়ে। এখানেই তো অপেক্ষা করছে চমক। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে মোটেই ঘোরেননি তিনি। নেটের মাধ্যমে পরিচিতরাই নাকি তাঁর এই ঘোরার খরচ জোগান। তাঁরাও এক সুন্দরীর সঙ্গে ডেট করতে পারেন আর তাঁরও দেশ ভ্রমণের তালিকা দীর্ঘ হতে থাকে।
এটাই এখন খবরে এনেছে অ্যালাবামার বাসিন্দা মনিকা লিনকে। গত বছর জানুয়ারির আগে অ্যামেরিকার বাইরে পা দেননি তিনি। কিন্তু, একটা বছর কাটতে না কাটতেই একের পর এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁর। কিন্তু, শুরুটা হয়েছিল ডেটিং সাইট থেকে।
এই ডেটিং সাইটটি সম্পর্কে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনই মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ছুটিতে শুধু সঙ্গ দিতে হবে আর তার পরিবর্তে সব খরচ ওই অবিবাহিত পুরুষের। ব্যাস! বিষয়টি মনে ধরে যায় মনিকার। প্রথমে মনে একটু খটকা লাগলেও সাইন আপটা করেই ফেলেন। শুরু হয় চ্যাটিং। আর তার ফল? এখন তাঁর অবস্থাই এর উত্তর দিচ্ছে। আর তাঁর কথায়, ৫ থেকে ১০ বছর কাজ করে আমি হয়তো যা করতে পারতাম না, এই ডেটিং সাইটের জন্যই একবছরে তা সম্ভব হলো। মাঝখানে তিনি এতটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন যে জীবনে অ্যাডভেঞ্চারের অভাবে একটি চাকরিও ছেড়ে দেন।
বিমানভাড়া, ফাইভ স্টার রিসর্টে থাকা থেকে ককটেলের খরচ। সবই বহন করেন তাঁর ডেটিং পার্টনাররা। আর তিনি উপভোগ করে যান। কিন্তু, সেক্স? এক্ষেত্রে ডেটিং পার্টনারদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁরা একে অন্যের প্রতি বন্ধুর মতো আচরণ করেন। তবে, মাঝে মাঝে গা ছমছমে লোকেশনে গেলেও এক মুহূর্তের জন্য ভয় পান না তিনি।