November 1, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali শারীরিক

ঘাম থেকেই এবার চার্জ হবে মোবাইল ! সুতরাং, যত পারেন ঘামুন 

[kodex_post_like_buttons]

নিউজ ডেস্কঃ

সম্প্রতি মার্কিন রসায়নবিদ ও গবেষকরা এক ধরনের ‘ট্যাটুর স্টিক’ তৈরি করেছেন যা দিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বা ট্রেনিং-এর মাত্রা পরিমাপ করা যায়৷ শুধু তাই নয়, তার পাশাপাশি তৈরি করা যায় বিদ্যুৎও৷ তাও আবার কিনা ঘাম থেকে৷

ধরুণ আপনি ‘জগার’ হিসাবে দৌড়াচ্ছেন৷ সেই সঙ্গে শুনছেন এমপিথ্রি প্লেয়ারে গান। আর এই জন্য যে বিদ্যুৎশক্তির প্রয়োজন, তা প্রস্তুত করছেন আপনি নিজেই৷ শুনে অবাক লাগছে? কথাটা কিন্তু সঠিক৷ শুধু ঘামের মাধ্যমেই তৈরি হয় বিদ্যুৎ৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান ডিয়েগোর একদল গবেষক এই মজার আইডিয়াটা বাস্তবায়িত করেন৷ তাঁরা এর নাম দিয়েছেন ‘ট্যাটু বায়োব্যাটারি’৷ ‘‘ঘামের মতো শরীর থেকে নির্গত তরল পদার্থ দ্বারা যে শক্তি উত্পাদন করা যায় তার একটা দৃষ্টান্ত এটা৷”

ঘামের ল্যাকটেট মাপা হয় একটি সেন্সর দিয়ে৷ল্যাকটেট হল এক প্রকার অণু, যা গ্লুকোজ থেকে মেটাবলিজমের মাধ্যমে প্রস্তুত হয়৷ শারীরিক পরিশ্রমের সময় কোষে ল্যাকটেট-এর ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধি পায়৷ ট্রেনিং-এর সময় শারীরিক অবস্থা কেমন হয় সেটা মাপা যায় ল্যাকটেট-এর পরিমাণ দেখে, জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, সান ডিয়েগোর ডক্টরেটের গবেষক ভেনঝাউ জিয়া৷ অতিরিক্ত ল্যাকটেট তৈরি হলে দেহে চাপ পড়ে৷

এই সেন্সর ডাইবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করা মাপার মতো কাজ করে৷ এটি ‘এনজাইম’ বা এক ধরনের প্রোটিন, যা ল্যাকটেটকে পাইরুভিক বা পিরুভিক অ্যাসিড-এ রূপান্তর করে৷ এর ফলে দুটি ইলেকট্রন উন্মুক্ত হয়৷ ইলেকট্রন অর্থ চার্জ, যা থেকে বৈদ্যুতিক শক্তি উত্পন্ন হয়৷ ঘামে যত বেশি ল্যাকটেট থাকে, তত বেশি বৈদ্যুতিক শক্তি উত্পন্ন হয়৷ একটি যন্ত্রের সাহায্যে এই বিদ্যুৎ মাপা যায়৷ তা থেকে ঘামে ল্যাকটেট-এর ঘনত্বও বোঝা যায়৷ পাতলা সেন্সরটি স্টিকারে ঢুকিয়ে ত্বকের ওপরে লাগিয়ে দেওয়া যায়৷ ল্যাকটেট থেকে পাওয়া বিদ্যুৎ দিয়ে ছোট ছোট ইলেকট্রনিক যন্ত্রও চালানো যায়৷ যেমন হার্টরেট মনিটর, স্মার্ট ফোন ইত্যাদি৷

 

 

Related Posts

Leave a Reply