রূপের জ্বালায় সারাদিন তিনি ঘরবন্দী!
কলকাতা টাইমস :
২৬ বছরের এক যুবতী। অপূর্ব সুন্দরী। পেশা মডেলিং। এটা একটা দিক। আর এর উল্টো দিকটা? ২৬ বছরের এই যুবতী সারাদিন ঘরবন্দি। বাড়ির বাইরে কখনও একা যান না। কোনও বয়ফ্রেন্ড ডেটে নিয়ে যেতে চাইলে, সেখানেও মাকে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। এখানেই শেষ নয়, ২৬ বছরের এই মেয়ে কোন জামা পরবেন, তাও বাবা-মাই ঠিক করে দেন। এক কথায় মেয়েকে ‘পুতুল’ বানিয়ে রেখেছেন বাবা-মা। পুতুলই বটে। ছোটবেলা থেকেই এক্কেবারে ডানাকাটা পরী মস্কোর বাসিন্দা অ্যাঞ্জেলিকা কিনোভা। মেয়ে এতটাই সুন্দর যে তাকে কোনওসময় হাতছাড়া করেননি বাবা-মা। সুন্দরী মেয়েকে সবসময় তাঁরা পুতুলের মতো সাজিয়ে-গুছিয়ে রেখেছেন। বার্বি ডলের মতো।
একনজর দেখলে যে কেউ তাঁকে বার্বি ডলের সঙ্গে ভুল করবে। ছোট্টবেলা থেকে মেয়েকে বার্বি সাজিয়েই রাখতেন কিনোভার বাবা-মা। অনেকেই তাকে দেখে বলতেন ‘হিউম্যান বার্বি’। এভাবেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে কিনোভা। যত দিন যায়, ততই ঝরে পড়তে থাকে তাঁর রূপের ছটা। মেয়েকে আরও সুন্দরী করে তুলতে বাড়িতে ট্রেনার রেখে রোজ শরীর ও রূপচর্চারও ব্যবস্থা করেন কিনোভার বাবা-মা। আজ ২৬ বছরের এই রাশিয়ান যুবতীর ওজন ৩৮ কেজি। মডেলিং করেন। সবই আছে। তবু খুশি নন হিউম্যান বার্বি।
তাঁর আক্ষেপ, ‘আমি বড় হয়েছি। আমি স্বাধীন হতে চাই। কিন্তু, আমার বাবা-মা এখনও চান আমি তাঁদের কথায় উঠি-বসি। ওঁরা এখনও চান না আমি বাড়ির বাইরে যাই। মা সঙ্গে না থাকলে আমার জামাকাপড় কেনার কোনও অধিকার নেই। আমাকে কোন পোশাকে ভালো দেখাবে, সেটাও ঠিক করে দেন আমার মা। আমি কোনও বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ডেটে গেলে, মায়ের ইচ্ছে অনুযায়ী আমাকে তিনজনের জন্য টেবিল বুক করতে হয়। কারণ মা-ও আমার সঙ্গে যান। সেজন্যই কেউ আমার বয়ফ্রেন্ড হতে চান না। সবাই শুধু আমার বন্ধু।’ এখন শুধু একজন প্রকৃত প্রেমিকের অপেক্ষায় রয়েছেন কিনোভা। কোনও আলুভাতে পুরুষ নয়, বরং হাট্টাকাট্টা, কেরিয়ার নিয়ে সচেতন এমন একজন পুরুষ তাঁর স্বপ্ন যাঁর চোখেই ফুটে উঠবে তাঁর শক্তি ও অহঙ্কার। রুশ যুবতীর আশা, ‘আমাকে সারাটা জীবন একটা কাচের প্রাসাদে আটকে রেখেছেন বাবা-মা। আশা রাখি, খুব শিগগিরই আমি সেটা ভেঙে একটা স্বাধীন জীবনের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।