আপনার জন্ম সাল ঠিক করে কি ধরনের ফ্লু- হতে পারে?
কলকাতা টাইমস :
আপনার জন্ম কোন বছর হয়েছে? সেই সময়ের ওপর নির্ভর করে আপনার মাঝে বিশেষ ধরনের ফ্লু এর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। গবেষকরা বলেন, যারা ১৯৬৮ সাল বা তার পরে জন্মেছেন, তারা বেশ কয়েক ধরনের ফ্লু এর ঝুঁকিতে থাকেন। শিশুদের মতো তারাও বিভিন্ন ধরনের ফ্লুয়ের আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকেন। এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের ওপর গবেষণা চালিয়ে এসব তথ্য দেন গবেষকরা।
এ গবেষণায় ১৪০০ মানুষেরও বেশি সংখ্যক মানুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের বেছে নেওয়া হয়। এরা সবাই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে দুই ধরনেরর বার্ড ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের নাম এইচ৫এন১ এবং এইচ৭এন৯। এ গবেষণায় বোঝা যায়, এ ধরনের অসুস্থতা ও ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বয়স বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তা দেখার চেস্টা করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলোশনারি বায়োলজির গ্র্যাজুয়েট এবং প্রধান গবেষক ক্যাটেলিন গোস্টিক জানান, অতীতে যখন পশু-প্রাণী থেকে বিভিন্ন ফ্লু ছড়াতো তখন মানুষের সংখ্যা এত বেশি ছিল না। কিন্তু বর্তমানের গবেষণা বলা হয়, অনেক মানুষের রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা বিশেষ কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে না। শিশুদের মাঝেও এমন অবস্থা বিরাজ করে।
ফ্লু এবং বয়স : এর আগে বিজ্ঞানীরা জানান, ফ্লু ছড়ালে বিশেষ বয়সের মানুষের দেহেই সংক্রমিত হয়। এইচ৫এন১ সাধারণত শিশুদের মাঝে সংক্রমিত হয়। আর এইচ৭এন৯ বড়দের মাঝে।
নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মোটামুটি ১৯৬৮ সাল থেকে। তখন হং কং ফ্লুয়ের মহামারী দেখা দেয়। সেই সময় যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে জেনেটিকভাবে তা অন্যান্য ভাইরাস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই ভাইরাসটি ছড়ানোর আগে অর্ধ শতাব্দি ধরে ফ্লুয়ের কারণ ঘটানো অন্য জাতের ভাইরাস। এইচ৭এন৯ এর সঙ্গে মিল রয়েছে এমন একটি স্ট্রেইন পাওয়া যায় হং কং ফ্লয়ের ভাইরাসে। ওই বছরের পর থেকে যারা জন্মগ্রহণ করেন, তারা এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম নন।
আপনার প্রথম ফ্লু : জন্মের পর শিশুরা প্রথম যে ধরনের ফ্লুতে আক্রান্ত হয়, পরবর্তিতে বোঝা যায় তারা কোন ধরনের ফ্লুয়ের সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম নয় এবং কি ধরনের ফ্লুয়ের সংক্রমণ ঘটতে পারে। শিশুকালে ফ্লুয়ের সংক্রমণ থেকেই বোঝা যাবে জীবনের অন্যান্য সময় তারা কি কি ফ্লুতে আক্রান্ত হতে পারে।
জনস্বাস্থ্যের জন্য এই গবেষণাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা অন্যান্য ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণ ও যে মানুষরা আক্রান্ত হতে পারেন সে সম্পর্কে ধারণা মিলবে।