এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সংখ্যা, কেন জানেন?
কলকাতা টাইমস :
এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াল সংখ্যা, কেন জানেন? ৬৬৬ নম্বরটি দেখলে অনেকে আজো আতঙ্কে কেঁপে ওঠেন। কী রহস্য এতে?
সেই পুরনো দিনগুলো যখন সভ্যতায় অঙ্কের হিসাব আসছে, তখন থেকেই সংখ্যার সঙ্গে সৌভাগ্য, দুর্ভাগ্য, শরীরী-অশরীরী, মঙ্গল-অমঙ্গলের যোগসূত্র স্থাপন করেছে মানুষ। এরপর কেটে গেছে বহু বছর। কিন্তু ৬৬৬-এর মতো দুর্নামের অংশীদার হতে হয়নি কোনো সংখ্যাকেই।
এ সংখ্যাটিকে বলা হয়, ‘নাম্বার অফ বিস্ট’। ‘ডেভিল’-এর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে এ সংখ্যা। ‘নিউ টেস্টামেন্ট’-এর ‘বুক অফ রেভেলেশন’-এ একটি টার্ম হলো ‘নাম্বার অফ বিস্ট’।
সেই নম্বরটি হলো ৬৬৬। ‘বুক অফ রেভেলেশন’-এর (চ্যাপ্টার ১৩) সঙ্গে যুক্ত এ সংখ্যাটি। তবে ভার্স ১৮-এ মাত্র একবার এ সংখ্যাটির উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘দিস কল্স ফর উইজডম : লেট দ্য ওয়ান হু হ্যাজ আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্যালকুলেট দ্য নাম্বার অফ বিস্ট, ফর ইট ইজ দ্য নাম্বার অফ আ ম্যান, অ্যান্ড হিজ নাম্বার ইজ ৬৬৬।’
‘বিস্ট’-এর বর্ণনা ‘সেটান’-এর সঙ্গে মিলে যায়। অথচ এও বলা হয়েছে, ৬৬৬ হলো ‘নাম্বার অফ আ ম্যান’। এর ফলে একটি বিভ্রান্তি দেখা যায়। একটি ব্যাখ্যায় সোলোমন এবং তার রাজকোষের প্রসঙ্গ তোলা হয়। এ ওজনের সোনা নাকি বছরে সোলোমনের কাছে আসত।
বাইবেল-এ ৬ সংখ্যাটি ‘ম্যান’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে এ ‘৬’-ই পরপর তিনবার আসার অর্থ, এ ‘বিস্ট’ একটি সরকারের প্রতিনিধি, যে সরকার মানুষের কর্তৃত্বের কথা বলে, ঈশ্বরের নয়।
ফলে সব মিলিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে সংখ্যাটির সম্পর্কে কিছু বলা কঠিন। কীভাবে এর উৎপত্তি বা কীভাবে এ সংখ্যাটি ‘অশুভ’ তকমা পেল তা বলা একপ্রকার অসম্ভব। পুরোটাই কি আসলে কুসংস্কার?