স্বামীর দেহ পচে দুর্গন্ধ, স্ত্রী দেখছে টিভি!
কলকাতা টাইমস :
এর আগে কলকাতার মানিকতলার এক মহিলার নির্লিপ্ততা অবাক করে পুলিশকে। মনোবিদরা এক একরকম ব্যাখ্যা দিলেও, একজন স্ত্রী স্বামীকে চোখের সামনে পুড়ে মরতে দেখেও কী ভাবে টিভির দিকে চেয়ে নিশ্চুপ বসে থাকতে পারেন, তা বুঝে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। যে কারণে মহিলার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ বার আর এক মহিলার সন্ধান মিলল, যিনি স্বামীর মৃতদেহের পাশে বসে অম্লানবদনে টিভি দেখছিলেন। স্বামীর দেহ পচে দুর্গন্ধ বেরোলেও, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ ছিল না মহিলার। প্রতিবেশীরা গন্ধ না পেলে, হয়তো এ ভাবেই আরও কয়েকটা দিন কাটিয়ে দিতেন ওই মহিলা।
হাওড়ার বীরশিবপুরের বাসিন্দা বিজয় ঘোষের প্রতিবেশীরা জানান, ক’দিন ধরেই তাঁরা বিজয়বাবুকে রাস্তায় দেখতে পাননি। দু-দিন ধরে তাঁদের বাড়ির সদর দরজাও বন্ধ ছিল। বিজয়বাবুর বাড়ি থেকে পচা, দুর্গন্ধ নাকে আসায়, জোর করেই তাঁরা ঘরে ঢোকেন। তখনই দেখতে পান বিজয় ঘোষের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে। পাশেই নিজের মতো টিভি দেখছিলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী ঘোষ।
বিজয়বাবুর কী করে মৃত্যু হল, সে সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেননি ওই মহিলা। তাঁর অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে, প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার কয়েক দিন আগেই মানিকতলার জি ব্লকের একটি ফ্ল্যাটে রাতে ধোঁয়া দেখতে পান প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় দমকলে। তারা এসে মাঝের বেডরুম থেকে উদ্ধার করে সিইএসসির প্রাক্তন আধিকারিক রঞ্জিত বরাটের অগ্নিদগ্ধ দেহ। পাশের ঘরেই বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা বরাট। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মানিকতলা থানার পুলিশ। সুতপা বরাটের বয়ানে অসংগতি থাকায় তাঁকে আটক করে পুলিশ।