একই রাশির ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিয়ে বা প্রেম করলে কি হয় জানেন ?
কলকাতা টাইমস :
একই রাশির ছেলে-মেয়েদের যে বিয়ে করা উচিত নয়, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু একথা ভুলে গেলে চলবে না যে আমাদের জীবন এতটা সরল নয়, এমনকি সরল রেখা ধরেও চলে না। তাই এমনটা মেনে নেওয়া ভুল যে একই রাশির দুটি মানুষ কোনও সিরিয়াস সম্পর্কে জড়ালে সব সময় তাদের ভাগ্যে শুধু দুঃখই জুটবে! একথা বললে ভুল হবে না যে অনেক ক্ষেত্রে এমন সমীকরণ যেমন দারুন সফল হয়, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে বিবাহ বিচ্ছেদ অথবা তুমুল ঝগড়া-ঝাটির হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকাদের একই রাশির মানুষকে বিয়ে করা উচিত, আর করা ফচিত নয়, সে সম্পর্কে জেনে না নিলে কিন্তু বিপদ!
মেষরাশি: আগুনে-আগুনে যেমন বন্ধুত্ব হয় না, তেমনি ছেলে-মেয়ে উভয়েরই যদি মেষরাশির হয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু বিপদ! কারণ সেই সম্পর্কের কোনও ভবিষ্যতে নেই বললেই চলে। আসলে দুজনেই মাথা গরম, সেই সঙ্গে লেজুড় হয় ইগো। ফলে কথায় কথায় ঝগড়া-জাটি হতেই থাকে। আর এমন গরম পরিস্থিতিতে যে কোনও সম্পর্কেই শ্বাস নিতে পারে না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
বৃষরাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকারা সমগোত্রীয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধতেই পারেন। কারণ এরা বেজায় ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ হন। ফলে একেঅপরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যাই হয় না। উপরন্তু নানা বিষয়ে ভাল-মন্দটা যেহেতু মিলে যায়, তাই সম্পর্কটা মজুত হয়ে উঠতে সময় লাগে না।
মিথুনরাশি: এরা যেমন চঞ্চল প্রকৃতির হন, তেমনি নতুন নতুন জিনিস জানার আগ্রহে সারাক্ষণ মজে থাকেন। শুধু তাই নয়, মিথুনরাশির জাতক-জাতিকাদের চরিত্র বেজায় আনপ্রেডিকটেবলও হয়ে থাকে। তাই তো এই রাশির কোনও ছেলে বা মেয়ে যদি তাদেরই রাশির কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন, তাহলে কিন্তু সেই সম্পর্কটা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু খুব কমই থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটা কথা জেনে নেোয়া একান্ত প্রয়োজন। তা হল ছেলে-মেয়েটি কীভাবে একেঅপরকে সামলাচ্ছেন তার উপর কিন্তু সম্পর্কের স্টেবিলিটিটা অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই তো বলি বন্ধু আপনি যগি নিজ রাশিরই কাউকে তুমুল ভালোবেসে থাকেন, তাহলে সম্পর্কে এগিয়ে যেতে ভয় পাবেন না যেন!
কর্কটরাশি: এরা বেজায় ইমোশনাল প্রকৃতির হন। শুধু তাই নয়, কাউকে যখন ভালোবেসে ফেলেন তখন আগে-পিছু না ভেবে শুধু পাগলের মতো ভালোবাসেন। তাই এমন ধরনের দুজন মানুষ হাতে হাত মেলালে জীবনে কোনও দিন যে ভালোবাসের ঘাটতি হয় না, তা তো বলাই বাহুল্য। তবে একটা জিনিস মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন যে অতিরিক্তি কোনও কিছুই কিন্তু ভাল নয়, তা রাগ হোক কী ভালোবাসা…!
সিংহরাশি: এক সিংদের সঙ্গে আরেক সিংহ, মোটে নয়! কারণ এদের যা চরিত্র তাতে একই রাশির ছেলে-মেয়েরা যদি সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন, তাহলে ইগো, রেশারেশি এবং অভিমানের চক্করে সম্পর্কটারই কিন্তু বাতি জ্বলে যাবে। সহজ কথায় দুটো বোম পাশাপাশি থাকা আর সিংহরাশির সঙ্গে আরেক সিংহরাশির সম্পর্কে জড়িয়ে পরাটা একই জিনিস।
কন্যারাশি: এরা চোখ বুজে সম রাশির ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে করতে পারেন। কারণ এদের যা চরিত্র তাতে সারাক্ষণই যে এরা একেঅপরকে ভাসবাসবে এবং সুখে-দুখে সঙ্গ দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এমনটা যকন হয়, তখন জীবনের রাস্তাটা যে হয়ে যায়, তা তো বলাই বাহুল্য!
তুলারাশি: তুলরাশির ছেলের সঙ্গে তুলারাশির মেয়ের তখনই বিয়ে সম্ভব, যখন এরা একেঅপরের খারাপটাকে মেনে নেবেন। না হলে এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পরাটা কিন্তু উচিত নয়। কারণ তুলরাশির ক্ষেত্রে সম রাশির মধ্যে বিবাহ হলে আনন্দের কোনও জয়গা থাকে না, বরং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নানাবিধ অশান্তিই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে সুখ-শান্তি দূরে পালাতে সময় লাগে না। তবে এক্ষেত্রে আরেকটা জিনিসও জেনে রাখি একান্ত প্রয়োজন। তা হল তুলারাশির একটা ছেলে এবং মেয়ে যদি একেঅপরের সঙ্গে মন খুলে কথা বলে তবে সিরিয়াস সম্পর্কে আসেন, তাহলে মনে হয় সম্পর্কটা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
বৃশ্চিকরাশি: না। এক্ষেত্রে সোজা না বলে দেওয়াটাই শ্রেয়। কারণ এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেজায় ঈর্ষাকাতর এবং সন্দেহপ্রবণ হন। তাই তো এমন ভয়ঙ্কর চরিত্রের দুটি মানুষ এক ছাদের তলায় থাকাটা যে মহা বিপদের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এরা যদি একেঅপরকে তুমুল ভালোবেসে ফেলেন, তাহলে আবার হাজারও ঝগড়া-ঝাটির পরেও আলাদা হতে চান না। কিন্তু একটা প্রশ্ন থেকেই যে এমন পশুর মতো কামড়া-কামড়ি করে বেঁচে থাকাটাও কি উচিত?
ধনুরাশি: এরা বেজায় স্বাধীনচেতা হন। তাই তো কোনও ধরনের দায়িত্বে জড়িয়ে পরতে এরা একেবারই পছন্দ করেন না। আর এমন ধরনের দুটি মানুষ যকন হাতে হাত রাখেন, তখন তাদের সংসারের ছবিটা কেমন দাঁড়ায়, সে সম্পর্কে নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। শুধু তাই নয়, ধনুরাশির জাতক-জাতিকাদের ইগো খুব বেশি হয়, তাই তো বলি বন্ধু সুখে-শান্তিতে যদি থাকতে চান, তাহলে ভুলেও নিজ রাশির কোনও ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে সিরিয়াস সম্পর্কে যাওয়ার কথা ভাববেন না যেন!
মকররাশি: এরা কাজ করতে খুব ভালবাসেন। তবু একেবারেই ঈর্ষাকাতর হন না। বরং আশেপাশের মানুষদের কীভাবে আনন্দে রাখা যায়, সেই চিন্তাই এরা সারাক্ষণ মজে থাকেন। তাই একথা বলা যেতে পারেই যে এমন স্বাভাবের দুটি মানুষ সম্পর্কে জড়িয়ে পরলে যে মন্দ হয় না, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। তবে একটা কথা মাথায় রাখা উচিত যে কর্মক্ষেত্রে আগে এগিয়ে যেতে আপনারা যতই এগ্রেসিভ হন না কেন, অফিসের কথা বাড়িতে বেশি আলোচনা করতে যাবেন না, তাহলেই দেখবেন সুখ-শান্তিতে কেটে যাবে বাকি জীবনটা।
কুম্ভরাশি: এই রাশির জাতক-জাতিকারা বেজায় মুডি হন। তাই আপনারা যদি নিজ রাসিরই কারও সঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে এই বিষয়টা মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন! এছাড়া আর বাকি কিছু নিয়ে কোনও চিন্তা করার কারণ নেই। তাই একথায় বলা যেতেই পারে যে মকররাশির ছেলে এবং মেয়েরা যদি একেঅপরের সঙ্গে সিরিয়াস সম্পর্কে আসার কথা ভাবেন, তাহলে ভুল করবেন না!
মীনরাশি: রঙিন চশমা পরে সারাক্ষণ স্বপ্ন দেখতে এরা খুব ভালোবাসেন। তাই তো মীনরাশির জাতক-জাতিকাদের সঙ্গে বাস্তবের যোগটা বড়ই কম থাকে। আর যাদের বাস্তবের সঙ্গে যোগ কম, এমন দুজন মানুষ এই কঠিন সমাজে কীভাবে বেঁচে থাকবেন বলুন! তা সম্ভব হলে মীনরাশির জাতক-জাতিকারা দয়া করে একই রাশিরই কাউকে বিয়ে করার সিদ্ধান নেবেন না যেন!