সাবধান এই বন্ধুরা কখনও আপন হয়না
কলকাতা টাইমস :
বন্ধুত্বটা হওয়া চাই হাত আর চোখের সম্পর্কের মতো। হাতে ব্যথা লাগলে চোখে জল আসে। আর চোখে যদি জল ঝরে, তবে হাত এগিয়ে যায় তা মুছে দিতে।
বন্ধু শব্দের মাঝে মিশে আছে নির্ভরতা আর বিশ্বাস। বন্ধু আর বন্ধন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বন্ধুত্ব মানেই যেন হৃদয়ের সবটুকু আবেগ নিংড়ে, ভালোবাসা দিয়ে মন খুলে জমানো কথা বলা। বন্ধুর জন্য গেয়ে ওঠা- হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে, দেখা হবে তোমার-আমার অন্যদিনের ভোরে।
বন্ধু বয়স ও শ্রেণি মানে না। বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে পারে, মায়ের সঙ্গে, বাবার সঙ্গে, ভাইয়ের সঙ্গে, বোনের সঙ্গে। সহপাঠী হোক, হোক সমবয়সী। কোনো তফাৎ সেই বন্ধুত্বের গভীরতায় যদি কোনো খাদ না থাকে। জীবনে প্রথম বন্ধু গড়ে ওঠার স্মৃতি থাকে অমলিন। সময়ের প্রয়োজনে কোনো বন্ধু দূরে সরে যেতে পারে কিন্তু মনের দূরত্ব কখনই তৈরি হয় না। বন্ধুর সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই অমূল্য। স্কুল শুরুর দিনে যে ছেলেটি বা মেয়েটি আপনারা পাশে বসেছিল তাকে কী ভোলা যায় সহজে?
বন্ধুদের আমরা সবসময় কাছের মানুষই ভাবি। কিন্তু আমরা যাদের বন্ধু বলে মনে করি তাদের সকলের সান্নিধ্য আমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নাও হতে পারে। বন্ধুদের মধ্যেই এমন কিছু মানুষ থাকেন, যাদের এড়িয়ে চলাই ভাল। চলুন জেনে নেই সেসব বন্ধুদের কথা।
যারা কথায় কথায় সমালোচনা করেন: বন্ধুদের মধ্যে কিছু মানুষ থাকেন দেখবেন, যারা আপনার সমস্ত কাজেরই সমালোচনা করেন। সমালোচনা মানে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা নয়, বরং সোজাসাপ্টা আপনার নিন্দা করা, হীনতা প্রমাণ করা। এই ধরনের সমালোচনা আপনার মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস দুটোই ভেঙে দিতে পারে। কাজেই এই ধরনের বন্ধুকে এড়িয়ে চলুন।
যারা কথায় কথায় প্রশংসা: প্রথম ধরনের বন্ধুদের বিপরীত রকমের ক্ষতি করেন এসব বন্ধুরা। প্রকৃত বন্ধু তিনিই, যিনি আপনার ভালো কাজটির প্রশংসা করবেন, আর খারাপ কাজটির ক্ষেত্রে আপনার ভুল ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু ভাল-মন্দ নির্বিশেষে সমস্ত কাজের প্রশংসা করেন যিনি করেন, তিনি আপনার খুব উপকারী বন্ধু হতে পারেন না। তার থেকে একটু দূরেই থাকুন।
যারা স্বার্থপর: স্বার্থপর মানুষজন সবসময়ই পরিতাজ্য। আপনার বিপদে-আপদে এদের কখনো পাশে পাবেন না। অথচ আপনার কাছ থেকে সাহায্য নেয়ার সময় এরা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না। কাজেই এ রকম মানুষকে বন্ধু মনে করে খুব কাছে টেনে নেবেন না।
যারা অত্যধিক ব্যস্ততার ভান করেন: বন্ধুদের মধ্যে কিছু মানুষ থাকেন যারা সর্বদাই ব্যস্ত। কীসের যে ব্যস্ততা এদের, তা অবশ্য আপনি বুঝতে পারবেন না। কিন্তু এদের এই রহস্যময় ব্যস্ততার ফলে আপনাকে এড়িয়ে চলা শুরু করবে। কাজের সময়ে এদের পাশে পাবেন না, বন্ধুরা একসঙ্গে কোনো পরিকল্পনা করলে এদের এই ব্যস্ততার কারণেই সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। কাজেই এদের থেকেও নিরাপদ দূরত্ব রক্ষা করে চলুন।
যারা নিজেদের সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত নন: এই ধরনের বন্ধুদের নিয়ে আরেক বিপদ। বন্ধুদের কোনো কাজ আপনার ভাল না লাগতেই পারে।সেই কাজের প্রতিবাদ বা সমালোচনা করার অধিকারও বন্ধু হিসেবে আপনার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু সেই সমালোচনা শুনেই আপনার বন্ধু ক্ষেপে যান, ঝগড়া শুরু করেন, তা হলে কিন্তু বিপদ। এই ধরনের বন্ধুদেরও তাই একটু দূরেই রাখুন।