এ জ্যাকেট পরলেই মোবাইলের চার্জ ফুল!
কলকাতা টাইমস :
পোশাক-কে ব্যবহার করা যাবে মোবাইলের চার্জার হিসেবে! হ্যাঁ, এমন একটি পোশাক বানিয়ে ফেললেন হিরাল সাংঘাভি নামের এক ব্যাক্তি। ৩০ বছর বয়সী হিরাল কিকস্টার্টার ক্যাম্পেইনে নতুন এক ধরনের পোশাক নিয়ে আসছেন, যা তারবিহীন মোবাইল চার্জ ডিভাইস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানা গিয়েছে।
২০১৫ সালে হিরাল সাংঘাভি কিকস্টার্টার ‘বাউব্যাক্স’ নামের একটি জ্যাকেট তৈরি করে যার জন্য ৯২ লাখ ডলার অনুদান এসেছে। তিনি তার আবিষ্কৃত বাউব্যাক্সকে মোবাইল চার্জারে পরিণত করেছেন, যা ওয়াশিং মেশিন দিয়ে ধোয়াও যাবে। কেননা ভেতরের একটি পকেটের মধ্যে একটি তারবিহীন চার্জিংপ্যাড সেলাই করে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তার মধ্যে দিয়েই ব্যবহারকারীরা নিজেদের ফোন চার্জ দিতে পারবেন। কেননা পোশাকটির পকেটে বাউব্যাক্স আইফোন কেস রয়েছে।
তবে, অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা এই কেসটি ব্যবহার করতে পারবেন না। কেননা তা চার্জ করতে তারবিহীন চার্জিং ক্যাপাবিলিটি তৈরি করা হয়েছে। চার্জের জন্য যে পাওয়ার সোর্সের প্রয়োজন তার জন্য একটি ব্যাটারি ব্যাংকের ব্যবস্থা রয়েছে যা পোশাকটির ওয়ালেটে বহন করা যাবে।
সাংঘাভি জানিয়েছেন, ব্যাটারি ব্যাংকটি একটি স্মার্টফোন, একটি স্মার্টওয়াচে দুই বার ও চারটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনকে চার্জ করতে পারে। এই ব্যাটারি ব্যাংকটি একটি বিশেষ বাউব্যাক্স চার্জিং প্যাড দ্বারা চার্জ করা হবে। এটি পুনরায় চার্জ করতে দুই থেকে চার ঘণ্টা সময় নেবে।
বাউব্যাক্স সোয়েট শার্ট, জ্যাকেট এবং রিস্টলেটসহ মোট ২৭টি পণ্যের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই পোশাকগুলোর মূল্য ১৪০ থেকে ১৭০ ডলারের মধ্যে। প্রত্যেকটি জ্যাকেটের কলার তারবিহীন ইয়ারবাডস চার্জের জন্য প্লাগ পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও জ্যাকেটের স্লিভে অ্যাপল ওয়্যাচ চার্জের ব্যবস্থা রয়েছে। বাউব্যাক্সের ব্যাটারি ব্যাংক, চার্জিং প্যাড, আইফোন কেস, রিস্টলেট এবং ওয়ালেটসহ অন্যান্য অংশগুলোর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা বিক্রি করা হবে। সংস্থার আশা, আগামী ২০১৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে গ্রাহকের হাতে পৌঁছে যাবে এই পোশাকটি।
২০১৫ সালে সাংঘাভি প্রথম কিকস্টার্টার প্রকল্প হিসেবে বাউব্যাক্সটি সবার সামনে প্রকাশ করেন। এটি ট্রাভেল জ্যাকেট হিসেবে তৈরি করেছিলেন। এতে বালিশ, সোডা ক্যান হোল্ডারসহ ১৫টি ফিচার ছিল। এবার সেটাই মোবাইল চার্জিং জ্যাকেট বানিয়ে ফেললেন সাংঘামি।