বিশ্বাস করবেন ! নারকেলে লুকিয়ে বড়লোক হওয়ার রহস্য
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
নারকেল কীভাবে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়াতে সাহায্য করবে, সে সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করার আগে একটা কথা বলতে চাই আপনাদের, তা হল নারকেলকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ কিছু পুজোর আয়োজন করলে শুধু অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে ওঠে না। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে বাসা বেঁধে থাকা একাধিক রোগও দূরে পালায়। কিন্তু প্রশ্ন হল এত সব উপকারে করে কীভাবে নারকেল? এই উত্তর জানার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই এই প্রবন্ধে চোখ রাখতে হবে। আর যদি এমনটা করেন, তাহলে যে ভুল করবেন না, তা হলফ করে বলতে পারি!
প্রাচীন কালে লেখা একাধিক পুঁথি অনুসারে নারকেলের অন্দরে মজুত রয়েছে বিশেষ কিছু শক্তি, যাকে ঠিক ঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে জীবনের ছবিটা বদলে যেতে সময় লাগে না। তাই তো বলি আর অপেক্ষা নয় বন্ধু, চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী ভাবে এই ফলটিকে কাজে লাগালে নানা উপকার মিলতে পারে, সে সম্পর্কে…
১. মামলা-মোকদ্দমার খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে: নানা আইনি ঝামেলায় ফেঁসে গিয়ে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে নাকি? তাহলে বন্ধু আজ-কালের মধ্যেই যে ভগবানকে মানেন, তার পুজোর আয়োজন করুন এবং তাতে একটা নারকেল রাখতে ভুলবেন না। পুজোর পর নারকেলটির উপরে একটা লাল ফুল রেখে দিন। কী হবে ফুলটা রেখে? এর পরে যে দিন কোর্টে যাবেন, সেদিন ফুলটা পকেটে করে নিয়ে যান। এমনটা করলে দেখবেন সব কেস মিটে যাবে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ঝামেলার খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতেও দেখবেন সময় লাগবে না।
২. খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যাবে: কালো যাদু বা নেগেটিভ শক্তির কারণে কোনও ক্ষতি হোক, এমনটা যদি না চান, তাহলে প্রতি মঙ্গলবার একটা নারকেল নিয়ে তাতে দেড় মিটার লম্বা লাল কাপড় জড়িয়ে নিন। তারপর সেই নারকেলটা হাতে নিয়ে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের চারিপাশে কম করে সাত পাক ঘুরিয়ে হনুমানজির পায়ে রেখে দিন। এমনটা করলে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কারও কুনজরের কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কমে।
২. খারাপ শক্তির প্রভাব কেটে যাবে: কালো যাদু বা নেগেটিভ শক্তির কারণে কোনও ক্ষতি হোক, এমনটা যদি না চান, তাহলে প্রতি মঙ্গলবার একটা নারকেল নিয়ে তাতে দেড় মিটার লম্বা লাল কাপড় জড়িয়ে নিন। তারপর সেই নারকেলটা হাতে নিয়ে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের চারিপাশে কম করে সাত পাক ঘুরিয়ে হনুমানজির পায়ে রেখে দিন। এমনটা করলে গৃহস্থের অন্দরে উপস্থিত খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে কারও কুনজরের কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যাবে কমে।
৩. যে কোনও সমস্যা মিটে যাবে: আচ্ছা গত কয়েক দিনে কি নানা ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে? আর সেই কারণে কি বেজায় চিন্তায় রয়েছেন! তাহলে বন্ধু আজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে পাশে একটা নারকেল রেখে দিন। কাল সকালে উঠে সেই নারকেলটা কোনও একটা গণেশ মন্দিরে ভেট চড়ান, সেই সঙ্গে বাপ্পার পছন্দের মিষ্টি এবং ভুল নিবেদন করতেও ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে দেখবেন সব সমস্যা নিমেষে মিটে গেছে। সেই সঙ্গে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির মাত্রাও কমবে। ফলে আনন্দে ভরে উঠবে জীবনের প্রতিটি দিন।
৪. অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে: অল্প সময়ে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান নাকি বন্ধু? তাহলে আগামী মঙ্গলবার থেকে টানা ৮ সপ্তাহ কোনও হনুমান মন্দিরে গিয়ে দেবের শরীরে লেগে থাকা সিঁদুর নিয়ে একটা নারকেলের উপর সোয়াস্তিকা চিহ্ন এঁকে মারুথির পায়ের সামনে রেখে দিন। তারপর এক মনে ১০৮ বার হনুমান চল্লিশা পাঠ করে বাড়ি পিরে আসুন। এমনটা করতে থাকলে দেখবেন এমন সব সুয়োগ পেতে শুরু করেছেন যে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আকাশ ছোঁবে।
৪. অর্থনৈতিক উন্নতির স্বাদ পেতে: অল্প সময়ে অনেক অনেক টাকার মালিক হয়ে উঠতে চান নাকি বন্ধু? তাহলে আগামী মঙ্গলবার থেকে টানা ৮ সপ্তাহ কোনও হনুমান মন্দিরে গিয়ে দেবের শরীরে লেগে থাকা সিঁদুর নিয়ে একটা নারকেলের উপর সোয়াস্তিকা চিহ্ন এঁকে মারুথির পায়ের সামনে রেখে দিন। তারপর এক মনে ১০৮ বার হনুমান চল্লিশা পাঠ করে বাড়ি পিরে আসুন। এমনটা করতে থাকলে দেখবেন এমন সব সুয়োগ পেতে শুরু করেছেন যে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স আকাশ ছোঁবে।
৫. কর্মক্ষেত্রে চরম সফলতার স্বাদ মিলবে: একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! বাস্তবিকই নারকেলকে কাজে লাগিয়ে পদন্নতির সম্ভাবনাকে বাড়য়ে তোলা সম্ভব কিন্তু! কীভাবে? এক্ষেত্রে প্রতি বৃহস্পতিবার একটা নারকেল নিয়ে সেটিকে দেড় মিটার হলুদ কাপড় পেঁচিয়ে ভগবান বিষ্ণুর পায়ে রাখতে হবে, সেই সঙ্গে নিবেদন করতে হবে হলুদ মিষ্টি এবং ফুল, তাহলেই দেখবেন কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের পথ প্রশস্ত হতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, যারা ব্যবসা করে থাকেন, তারাও কিন্তু এই টোটকাটিকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে পাবেন, তা কিন্তু হলফ করে বলতে পারি!
৬. পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে: প্রতি শুক্রবার একটা নারকেলকে লাল কাপড়ে জড়িয়ে মা দুর্গার সামনে রাখতে হবে। তারপর লাল ফুল নিবেদন করে শুরু করতে হবে মায়ের পুজো। এমনটা নিয়ম করে কয়েকদিন করলেই দেখবেন পরিবারের সদস্যদের মাঝে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা যে কলহ মিটে যাবে। সেই সঙ্গে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগবে পরিবারে। প্রসঙ্গত, এই নিয়মগুলি মেনে যদি প্রতিদিন মা দুর্গার আরাধনা করা যায়, তাহলে কিন্তু আরও দ্রুত উপকার মেলে।
৭. টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যাবে: আগামী শুক্রবার মা লক্ষ্মীর পুজো পুজো করার পর মায়ের পায়ে একটা নারকেল ছুঁইয়ে সেটি লকারে রেখে দিন। এমনটা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে! আসলে এমন বিশ্বাস রয়েছে যে মায়ের পায়ে ছোঁয়ানো নারকেল, টাকায় জায়গায় রাখলে নাকি টাকা-পয়সা সংক্রান্ত সব ঝামেলা মিটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ধার-দেনাও সব মিটে যায়।
৮. শনির প্রকোপ কমবে: শনি দেবের বক্র দৃষ্টি পরে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে প্রতি শনিবার একটা নারকেল, গঙ্গা জলে চুবিয়ে দেবকে নিবেদন করুন। এমনটা করলে শনি গ্রহের কুপ্রভাব পরার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও যাবে কমে। প্রসঙ্গত, গঙ্গে জলে ছুঁইয়ে নারকেলটা যখন শনি দেবকে নিবেদন করবেন তখন “ওম রামদূত্যায় নমহ”, এই মন্ত্রটি জপ করতে ভুলবেন না যেন!
৯. কালসর্প দোষ কেটে যাবে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যাদের কালসর্প দোষ রয়েছে তারা যদি প্রায়শই গরীব মানুষদের নারকেল এবং জামা-কাপড় দান করেন, তাহলে নাকি এমন দোষ কেটে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ভাগ্যও ফিরে যায়। ফলে জীবনে আনন্দে ভরে উঠতে সময় লাগে না।