অনেকের অজানা এখানে থরে থরে সাজানো ২০ হাজার কংকাল, কিন্তু কেন?
কলকাতা টাইমস :
অনেকেই ‘মিউজিয়াম অব লন্ডন’ নামে লন্ডনের এক জাদুঘরে দেখতে আসেন রোমান আমলের বিভিন্ন নিদর্শন, মধ্যযুগের অস্ত্রশস্ত্র ও ভিক্টোরিয়ান আমলের বিভিন্ন নিদর্শন। তবে সবার সামনে এসব নিদর্শন থাকলেও লোকচক্ষুর অন্তরালে রয়েছে বিশাল কংকালের ভাণ্ডার।
লন্ডনে রয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্বখ্যাত জাদুঘর। এ জাদুঘরগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মিউজিয়াম অব লন্ডন। অনেকেরই জানা নেই, এ জাদুঘরে রয়েছে মানুষের প্রায় ২০ হাজার কংকাল। আর বিপুল পরিমাণ এ কংকালগুলো বাক্সবন্দি রয়েছে জাদুঘরের ভূগর্ভস্থ কক্ষে।
জাদুঘরটির মূল প্রদর্শনকক্ষের নিচে কংক্রিটের ভূগর্ভস্থ কক্ষে রয়েছে অসংখ্য শেলফ। সে শেফলগুলোতেই অসংখ্য কার্ডবোর্ডের বাক্সে সাজানো রয়েছে কংকালগুলো। প্রতিটি বাক্সর বাইরেই হাতে লেখা রয়েছে কংকালের বিভিন্ন তথ্য। এ কংকালগুলোর কোনো কোনোটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের কোনোটি আবার শিশুর কিংবা নবজাতকের। বাক্সের প্যাকেটে সে তথ্যও লিখে রাখা হয়েছে।
জাদুঘরের যে বিভাগে এত কংকাল সাজানো রয়েছে তার নাম ‘সেন্টার ফর হিউম্যান বায়োআর্কিওলজি’। বিশ্বের কোথাও একসঙ্গে এত কংকাল সংরক্ষিত নেই বলেই মনে করেন এ বিভাগের কিউরেটর জেলেনা বেকভ্যালাক।
কিন্তু কি কারণে জাদুঘরে এত কংকাল সংরক্ষণ করা হয়েছে? এ প্রসঙ্গে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানান, এ কংকালগুলো অতীতের বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের। এর মধ্যে রয়েছে মধ্যযুগ ও ঐতিহাসিক ব্ল্যক ডেথ, যে সময় বিপুল সংখ্যক মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল। এ ছাড়া রয়েছে বিভিন্ন বয়স ও জাতিবর্ণের মানুষের কংকাল। এগুলো ব্যবহার করে নানা ধরনের গবেষণা করাই তাদের উদ্দেশ্য।
ভবিষ্যতে এসব কংকাল থেকে পাওয়া তথ্য চিকিৎসাবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগবে বলে তাদের বিশ্বাস। আধুনিক মানুষের স্বাস্থ্যগত নানা বিষয় জানা সম্ভব হবে এসব কংকাল দিয়ে।