কলকাতা টাইমস :
ডিম এমনই একটি খাবার যেটি প্রায় প্রতিদিনই থাকে আমাদের খাদ্য তালিকায়। এটি রান্না করা যায় অনেকভাবে, সময় এবং ঝামেলা কম লাগে আবার পুষ্টিকরও। একসঙ্গে এতগুলো সুবিধা ডিম থেকেই পাওয়া সম্ভব। ডিম খাওয়ার পরে ডিমের খোসা সরাসরি চলে যায় ডাস্টবিনে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ডিমের খোসাও কিন্তু দারুণ উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক-
ফুলের বাগানে বার বর পোকার উপদ্রবে গাছ নষ্ট হচ্ছে? গাছের গোড়ায় গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। পোকা-মাকড় গাছের ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।
কফির তিক্ত ভাব কমাতে কফির সঙ্গে ডিমের খোসার গুঁড়ো এক চিমটে মিশিয়ে দিন। কফি গুলিয়ে নেওয়ার পর একটু সময় দিন। ডিমের খোসার গুঁড়ো থিতিয়ে নীচে পড়ে যাবে আর কফির তিক্ত স্বাদও অনেকটাই কমে যাবে।
১টি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে একটা বা দুটি ডিমের খোসা ভালো করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এবার ওই প্যাক মুখে ১৫ মিনিট মতো লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচেভাব কেটে যাবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত! এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব
গাঁটের ব্যথা বা জয়েন্ট পেইন কমাতে একটি পাত্রে আপেল সাইডার ভিনেগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভালো করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এটাকে অন্তত ২-৩ দিন রেখে দিলে দেখবেন, ডিমের খোসাগুলো ভিনেগারের সঙ্গে একেবারে মিশে গিয়েছে। এই মিশ্রণ দিয়ে ব্যথার জায়গায় আলতো করে চাপ দিয়ে মালিশ করুন। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনেগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।