খালি পেটে মাত্র ২ টো নিম পাতা মানেই শরীরের নতুন জন্ম
ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফেরাতে নিম পাতার কোনওবিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর ত্বকের অন্দরে জলের ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে ড্রাই স্কিনের সমস্যা মিটতে সময় লাগে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মি করে কয়েক ড্রপ নিম তেল নেওয়া শুরু করলে অ্যাস্থেমার মতো রোগের প্রকোপ কমতে যেমন সময় লাগে না, তেমনি জ্বর এবং সর্দিকাশির মতো রোগও দারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মত নিম পাতা এবং নিম গাছের ছাল খাওয়া শুরু করলে স্টমাক এবং ইন্টেস্টিনাল আলসারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ম্যালেরিয়া এবং একাদিক ত্বকের রোগের চিকিৎসাতেও কিন্তু এই দুটি প্রকৃতিক উপাদান দারুন কাজে আসে।
নিম পাতা খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া আশঙ্কা আর থাকে না বললেই চলে। আর এমনটা যখন হয়, তখন ডায়াবেটিসের মতো রোগ যে ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না, .
নিয়মিত নিম পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে উপস্থিত নানাসব টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ ত্বকের সংক্রমণ, পুড়ে যাওয়া সহ নানবিধ স্কিন প্রবলেম সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে দুভাবে নিম পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। এক, প্রতিদিন নিম পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা পাতাটা জলে ফুটিয়ে, সেই জলটা টান্ডা করে চোখে লাগাতে পারে। যে কোনও একটা পদ্ধতি অনুসরণ করলেই দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে শুরু করবে। শুধু তাই নয়, চোখের ইরিটেশন, ক্লান্তি এবং লাল ভাবও কমবে।
বাঙালি হয়ে জন্মেছো তো হজমের রোগ থেকে তোমায় বাঁচানো বেশ মুশকিল। আসলে আমরা খেতে এত ভালবাসি যে পেটের খেয়াল রাখাটা ঠিক আমাদের দ্বারা হয়ে ওঠে না। তাই তো প্রতিটি বাঙালিরই নিম পাতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা একান্ত প্রয়োজন। কেন এমনটা করা উচিত, তাই ভাবচেন তো? আসলে নিম পাতায় থাকা একাধিক উপকারি উপাদান পাকস্থলিতে উপস্থিত নানাবিধ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। সেই সঙ্গে লিভার এবং কোলনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।