November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular ধর্ম

প্রতি বৃহস্পতিবার এই দুই ভাইয়ের পুজো ঘুরিয়ে দেবে ভাগ্যের চাকা 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 
শাস্ত্রে বলে প্রতি বৃহস্পতিবার যদি কৃষ্ণ-বলরাম দুই ভাইয়ের পুজো এক সঙ্গে করা যায়, তাহলে গৃহস্থে শুভ শক্তির আগমণ ঘটে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরও নানাবিধ উপকার মেলে। যেমন ধরুন…

১. রাহু-কেতু এবং বুধ গ্রহের কুপ্রভাব কেটে যায়: বেদে এমন উল্লেখ রয়েছে যে নিয়ম করে শ্রী কৃষ্ণ এবং বলরামের আরাধনা করলে আমাদরে জীবনের উপর রাহু-কেতুর কুপ্রভাব পরার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি জন্মকুষ্টিতে বুধের অবস্থান দুর্বল হয়ে পরার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। ফলে নানাবিধ সমস্যায় জীবন দুর্বিসষহ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আর থাকে না বললেই চলে। সেই সঙ্গে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে।

প্রতিপক্ষদের নিকেশ ঘটে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত বলরাম দেবে এবং তাঁর ভাইয়ের পুজো করলে যারা আপনার ক্ষতি করতে চায়, তাদের নিকেশ ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কারও কৃদৃষ্টির কারণে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, অফিসে যদি বিরোধী পক্ষের মারে জীবন যদি নরকসম হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে আজ থেকেই লর্ড বলরাম এবং শ্রী কৃষ্ণের আরাধনা শুরু করতে ভুলবেন না যেন!

জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশ ঘটে: শাস্ত্র মতে বলরাম দেবের অরাধনা করার সময় যদি যজ্ঞের আয়োজন করা যায়, তাহলে দেব এতটাই প্রসন্ন হন যে তাঁর আশীর্বাদে ভক্তের জ্ঞান-বুদ্ধির বিকাশ ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ধর্মের পথ চলার ইচ্ছাও জাগ্রত হয়। ফলে এমন অন্ধকারময় সময়েও বারে বারে আলোর সন্ধান পেতে সময় লাগে না।

বড়লোক হয়ে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হয়: এমন স্বপ্ন যদি দেখে থাকেন, তাহলে পুজো শুরু করুন বাল গোপালের, যার হাতে রয়েছে লাডডু এবং সঙ্গে রয়েছে দাদা বলরাম। এমনটা বিশ্বাস করা হয় সবুজ কাপড়ের উপর বাল গোপাল এবং বলরামের ছবি বা মূর্তি স্থাপন করে প্রতি বুধবার যদি পুজো করা যায়, তহলে দারুন উপকার মেলে। প্রসঙ্গত, পুজো করার সময় প্রসাদ হিসেবে ক্ষীর নিবেদন করে ধূপ-ধুনো এবং প্রদীপ জ্বালাতে হবে। প্রসঙ্গত, এই নিয়মগুলি মেনে যদি দেবের আরধনা করা যায়, তাহলে অনেক অনেক টাকায় পকেট ভরে যেতে দেখবেন সময় লাগবে না।
অফুরন্ত সুখের সন্ধান মেলে: হাজারো ক্ষত সইতে সইতে কি হাঁপিয়ে উঠেছেন? মরিয়া হয়ে খুঁজছেন একটু ভালবাসা আর সুখ, তাহলে যে ছবিতে শ্রী কৃষ্ণ বাঁশি বাজাচ্ছেন, এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করা শুরু করুন। সেই সঙ্গে পাঠ করুন “ওম শ্রী কৃষ্ণ ক্লিম নামাহ” মন্ত্রটি। দেখবেন সুফল মিলবে চোখের পলকে। আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়মিত এইসব নিয়মগুলি মেনে যদি গোপালের পুজো করা যায়, তহালে সুখের ঝাঁপি তো ভরে ওঠেই। সেই সঙ্গে সফলতাও রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, পূর্ব দিকে মুখে করে বসে এই মন্ত্রটি যদি নিয়মিত পাঠ করতে পারেন, তাহলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।

জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি মেলে: সারা জীবন ধরে আমরা নানা কর্ম করে যাই। সেই কর্মের মায়াজল থেকে মুক্তির পথ দেখায় শ্রী কৃষ্ণ এবং বলরাম। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন বাল গোপাল এবং তাঁর দাদার আরাধনা করলে জীবন তার অর্থ খুঁজে পায়। ফলে জন্ম-মৃত্যুর বৃত্ত থেকে আত্মার মুক্তি পেতে সময়ই লাগে না। তাই তো ধর্ম গুরুরা মুক্তির সন্ধান পেতে সময় সব সময় কৃষ্ণ নাম যপ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই তো বলি বন্ধু যদি স্বর্গ লাভের ইচ্ছা থাকে, তাহলে “হারে কৃষ্ণ, হারে কৃষ্ণ, কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে”, এই মন্ত্রটি মনে মনে জপ করতে ভুলবেন না যেন!

মা হাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়: নানা কারণে অনেকেরই মা হওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে বাল গোপালের পুজো শুরু করতে হবে। দোলনায় বসা শ্রী কৃষ্ণকে হলুদ কাপড়ের উপর বসিয়ে প্রতি বুধ এবং বৃহস্পতিবার পুজো করলে দেখবেন ফল মিলবেই মিলবে। প্রসঙ্গত, এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে কয়েক সপ্তাহ এই নিয়মগুলি মেনে পুজো করলে মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে বাল গোপালকে মিছরি অথবা মিষ্টি নিবেদন করে “ওম ক্লিম ক্লিম ক্লিম কৃষ্ণায় নমহ”, এই মন্ত্রটি ১৬ বার জপ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে: আজকের দিনে প্রায় সবারই জীবন নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। ফলে মনের শান্তি যেন আজ দূরের কোনও বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাল থাকার পথ দেখাতে পারেন একমাত্র শ্রী কৃষ্ণ এবং বলরাম। কারণ নিয়মিত দেবের আরাধনা করলে মন শান্ত হয়, সেই সঙ্গে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে যে কোনও ধরনের সমস্যার সমাধান বার করতে একেবারেই সময় লাগে না। আর যদি একবার আমরা আমাদের আশেপাশের সব সমস্যাকে কমিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে জীবনে সুখ ছাড়া আর কিই বা থাকে বলুন!

কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ ঝামালের হাত থেকে মুক্তি মেলে:  খেয়াল করে দেখবেন আপনার আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রে একেবারেই সুখের সন্ধান পান না। ফলে মানসিক অশান্তিকে সঙ্গী করে দিনের পর দিন কাজ করে যান। এক সময় গিয়ে স্ট্রেস লেভেল এতটা বেড়ে যায় যে মানসিক অবসাদের কবলে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদ শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। কারণ ক্রনিক ডিপ্রেশনের কারণে নানাবিধ মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। ফলে আয়ু তো কমেই, সেই সঙ্গে জীবন দুর্বসহ হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। তাই বন্ধু সময় থাকতে থাকতে শ্রী কৃষ্ণ এবং লর্ড বলরামের পুজো শুরু করুন। দেখবেন কর্মক্ষেত্রে মানসিক শান্তির সন্ধান পেতে সময় লাগবে না।

রোগ-ব্য়াধি সব দূরে পালাবে: একটু খেয়াল করে দেখুন আজকাল কী হারে বেড়েছে মারণ রোগের প্রকোপ! এখন তো প্রতিটি বাড়িতেই একজন করে সদস্য হয় ডায়াবেটিস, নয়তো উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, নয়তো হার্টের রোগের শিকার। সেই সঙ্গে মানসিক চাপের কারণে নানা রোগের খপ্পরে পরার ঘটনা তো আখছাড়ই ঘঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থভাবে বাঁচতে শ্রী কৃষ্ণ এবং বলরামের অরাধনা করা ছাড়া য়ে আর কোনও উপায় নেই। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে দুই ভাইয়ের একসঙ্গে আরাধনা করলে রোগমুক্ত, সুস্থ শরীরের অধিকারি হয়ে উঠতে সময় লাগে না।

বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সকালে পুজো করার সময় “নমো ভগবতে শ্রী গবিন্দায় নমহঃ”, এই মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করলে মনের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়, সেই সঙ্গে বৈবাহিক জীবনে কোনও ধরনের সমস্যা বা কলহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

কর্মক্ষেত্রে পদন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো: অফিসে বা ব্যবসায় চরম সফল হতে ভগবান বিষ্ণুর এই দুই অবতারের পুজো শুরু করুন। দেখবন সুফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে। এক্ষেত্রে শ্রী কৃষ্ণ গরুর পালের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, এমন ছবি বা মূর্তি পুজো করতে হবে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সঙ্গে যেন থাকে তার দোসর শ্রী বলরাম। প্রসঙ্গত, প্রতি বৃহস্পতিবার বাদামী কাপড়ের উপর দেবকে প্রতিষ্টা করে করতে এই পুজো। এই সময় ধূপ-ধুনে জ্বালিয়ে পাঠ করতে হবে, “ওম রোম রোম ক্লিম নামাহ কৃষ্ণায়”, এই মন্ত্রটি।

Related Posts

Leave a Reply