কলকাতা টাইমস :
সারাদিনের কাজের শেষে ঘরে ফিরে হালকা গরম গরম জলে সেরে নেন অনেকেই। আমাদের ক্লান্তি কাটিয়ে সতেজ করে তুলতে এটি সত্যিই কার্যকরী। কিন্তু যখন আপনি দীর্ঘ সময় ধরে গরম গরম জলে করবেন, তখন ত্বকে ও শরীরে তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। এটি চুল পড়া, ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল ও ময়েশ্চারাইজার নষ্টের কারণ হতে পারে।
মাথার ত্বক জোরে ঘষা: শ্যাম্পু করার সময় আপনি কি মাথার ত্বক খুব জোরে ঘষেণ? তাহলে আজ থেকে তা বন্ধ করুন। এটি নিয়মিত চলতে থাকলে স্ক্যাল্প থেকে আঁশের মতো উঠতে শুরু করবে। এছাড়াও এটি আপনার চুল খুব সহজেই ড্যামেজ করে দেবে।
স্পঞ্জ পরিষ্কার না করা: স্নানের সময় শরীর পরিষ্কার করার স্পঞ্জ পরিষ্কার করে নেন না অনেকেই। তারা মনে করেন, এটি তো পরিষ্কার করেই রেখেছিলাম, এখন আর আলাদা করে পরিষ্কার করতে হবে না! কিন্তু আপনি জানেন না, যতই পরিষ্কার অবস্থায় রাখুন না কেন, এতে বিভিন্নরকম ব্যাকটেরিয়া এসে জমা হয়। আর আপনি পরিষ্কার না করেই সেই স্পঞ্জ ব্যবহার করলে তা দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন। এতে আপনার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই প্রতিবার স্নানের আগে স্পঞ্জ পরিষ্কার করে নিন। আর প্রতি তিন মাসে একবার তা পাল্টে ফেলুন।
সঠিক সাবান ব্যবহার না করা:
ক্লিনজার ব্যবহার না করলে যেমন আমাদের শরীর শুষ্ক হতে থাকে সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহারেও ঠিক তেমনই। আপনি যদি প্রতিদিন স্নানের সময় অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার করেন তবে তা ত্বকের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ এতে ত্বক দ্রুতই শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাবে। আর আপনি হয়ে পড়বেন শ্রীহীন।
দেরিতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার:
ত্বক সতেজ রাখতে আমরা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি। কিন্তু তা করতে হবে স্নানের পরপরই। শরীর ভেজা থাকা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে তা দীর্ঘ সময় ময়েশ্চার ধরে রাখে। কিন্তু স্নানের দীর্ঘ সময় পরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে তা খুব একটা উপকারে আসে না।
ঠিকভাবে শরীর পরিষ্কার না করা:
স্নানের সময় শুধু ভালো মানের সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করাই শেষ কথা নয়। শরীর ঠিকভাবে পরিষ্কারও করতে হবে। যদি আপনি তা না করেন তবে শরীর তো কুটকুট করবেই, সেইসঙ্গে ময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হবে। ফলফলস্বরূপ দ্রুতই ব্রণ দেখা দেবে।