৬ ইঞ্চির নরকঙ্কাল ‘আতা’ কে নিয়ে তুমুল আগ্রহ বিজ্ঞানী মহলে

নিউজ ডেস্কঃ
মমি করে রাখা একটি কঙ্কাল। বিস্ময়ের বিষয় হলো, চিলিতে মেলা ওই কঙ্কালের দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ ইঞ্চি! ধারণা করা হচ্ছে, কোনো নবজাতকের মমি এটি। প্রশ্ন উঠছে কোনো নবজাতক এতটা ছোট হওয়া সম্ভব কিনা। ভ্রূণের দৈর্ঘ্য এমনটা হতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক পরীক্ষায় বোঝা গেছে, বাচ্চাটির বয়স ৬-৮ দিনের হতে পারে।
কঙ্কালটির উচ্চতা অবিশ্বাস্যভাবে খর্বকায়। এর বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য একেবারেই ভিন্ন। বিশেষ করে এর অদ্ভুত আকৃতির পাঁজরের হাড় এবং কোণ আকৃতির করোটি সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। এই কঙ্কালটি প্রথমে লা নোরিয়া শহরের এক পরিত্যক্ত নাইট্রেট খনিতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তা স্পেনের এক ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় চলে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, আতাকামা অঞ্চলে মেলা এই দেহাবশেষ হয়তো কোনো মানুষের ছিল না। ‘সিরিয়াস’ নামের এক ডকুমেন্টরিতে একে পৃথিবীতে এলিয়েনের আসার প্রমাণ হিসেবেও তুলে ধরা হয়েছে।
এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘আতা’। বিজ্ঞানীদের একটি দল কঙ্কালটির জেনোম পরীক্ষা করেছেন। কোষের নিউক্লিয়াস থেকে সংগৃহিত হয় জেনেটিক ব্লুপ্রিন্ট। এ পদ্ধতিতে মানুষের দেহ পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রমাণ মেলে আতা ছিল কন্যাশিশু। তবে এই নবজাতক বিভিন্ন জেনেটিক ইমিউটেশনের মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠে। বামনের বৈশিষ্ট্য, স্কোলিওসিস এবং কঙ্কাল ও পেশিতে অস্বাভাবিক গঠন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে সে। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজির প্রফেসর গ্যারি নোলান বলেন, প্রথমেই যে বিষয়টি আমাদের বিস্মিত করেছে তা হলো নবজাতকের হাড়ের ঘনত্ব এবং আকৃতি। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো পরিপক্ক হিসেবে প্রমাণ মিলেছে।