দুর্বিষহ হবে জীবন যদি শ্রাবন মাসে করেন এই কাজ
কলকাতা টাইমস :
তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় জেনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। তা হল শ্রাবণ মাস চলাকালীন এই প্রবন্ধে আলোচিত হতে চলা নিয়মগুলি মেনে না চললে কিন্তু কোনও ফলই মেলে না। উল্টে দেবাদিদেব এতটাই ক্ষুন্ন হন যে হঠাৎ করে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, এত ধরনের সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠতে সময় লাগে না। তাই তো বলি বন্ধু, জীবনকে সুখে-শান্তিতে ভরিয়ে তুলতে এবং মনের ছোট তবে থেকে ছোটকর ইচ্ছা পূরণ করতে সারা শ্রাবণ মাস জুড়ে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা জরুরি, সেগুলি হল…
হলুদ যেন না থাকে: দেবের আরাধনা করার সময় ভুলেও যেন হলুদ নিবেদন করবেন না। কারণ শাস্ত্র মতে দেবাদিদেব হলেন যোগী। তাই তো মহিলারা ব্যবহার করেন এমন কোনও জিনিস তাঁকে পরিবেশন করা উচিত নয়। মূলত এই কারণেই শিব ঠাকুরের পুজো করার সময় হলুদ এবং সিঁদুর নিবেদন করতে মানা করা হয়।
কাঁচা দুধ নৈব নৈব চ: দেবাদিদেবর পুজো মানেই তাঁকে কাঁচা দুধ নিবেদন করা হবেই হবে! এমনকী কোনও কোনও সময় শিব লিঙ্গকে কাঁচা দুধ দিয়ে স্নান করানো হয়ে থাকে। কিন্তু শ্রাবণ মাস চলাকালীন ভুলেও দেবকে কাঁচা দুধ পরিবেশন করা চলবে না। এই সময় দুধ ফুটিয়ে, তারপর তা নিবেদন করতে হবে সর্বশক্তিমানকে।
বেগুন খাওয়া চলবে না: শুনতে আজব লাগলেও হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক বইয়ে এমনটা জাবী করা হয়েছে যে শ্রাবণ মাসে বেগুন খেলে পাপ হয়। তাই তো এই সময় এই সবজিটিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
সাকাল সকাল উঠতে হবে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শ্রাবণ মাস চলাকালীন ভুলেও দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা উচিত নয়। বরং ব্রহ্ম মুহূর্তে, অর্থাৎ সকাল ৪-৬ টার মধ্যে উঠে স্নান সেরে নিতে এবং তারপর এক মনে জপ করতে হবে ওম নম শিবায় মন্ত্রটি। প্রসঙ্গত, এমনটা যদি নিয়মিত করতে পা পারা যায়, তাহলে দারুন সব ফল মেলে। আসলে শাস্ত্র মতে ব্রহ্ম মুহূর্তে পরিবেশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা বেশি থাকে। তাই তো এই সময় দেবের নাম নিলে বেশি মাত্রায় উপকার মেলে।