পাঁচ স্ত্রীকে বাজি রেখে জুয়ায় হারালেন সৌদি রাজপুত্র
কলকাতা টাইমস :
জুয়ার টেবিলের সামনে বসলে তার হুঁশ থাকে না৷ মাদকের নেশা না করলে ঘুম আসে না৷ ইচ্ছা হলেই পরিচারিকাদের সঙ্গেও তিনি অবৈধ্য মেলামেশা করেন৷ তার দাসীর সংখ্যাও অঢেল৷ এহেন এই রাজপুত্রটির নাম মাজেদ বিন আবদুল্লাহ বিন আবদুলাজিজ আল সৌদ৷
তার বউয়ের সংখ্যা ৯ জন৷ যার মধ্যে জুয়ায় বাজি ধরে হারালেন পাঁচজনকে! প্রেক্ষাপট মিশর৷ কীভাবে? সৌদি আরবের এই কুখ্যাত রাজপুত্র সিনাই প্রদেশের গ্র্যান্ড ক্যাসিনোয় ছ’ঘণ্টা ধরে জুয়া খেলছিলেন৷ মাদকের নেশায় হুঁশ খুইয়ে তার ধন-সম্পত্তির সমস্তটা বাজি রেখেছিলেন৷ কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে ছিল না৷ নিমেষে উড়ে যায় তার বাজি ধরা ১.৩৫০ বিলিয়ন রিয়াল৷ ভারতীয় টাকায় পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি ১০ লক্ষ টাকা৷ এরপরও তিনি জুয়ায় অর্থ বিনিয়োগ করতে চান৷ কিন্তু কানাকড়ি কিছুই না থাকায় শেষপর্যন্ত নিজের ৯ স্ত্রীয়ের বাজি রেখে খেলা শুরু করেন৷ এক-এক করে পাঁচ স্ত্রীকেও খোয়ান মাজেদ৷
বিলাসবহুল জীবনযাপন ও নানা কেলেঙ্কারির জন্য বিশ্বখ্যাত মাজেদ৷ ওই ক্যাসিনোর মালিক আলি শামুন জানিয়েছেন, “পাঁচ স্ত্রীকে বিক্রি করে ২৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬১ কোটি টাকা) পেয়েছিলেন মাজেদ৷ তারপর পাঁচ স্ত্রীকে এক ব্যক্তির দিকে ঠেলে দিয়ে ফের জুয়া খেলায় মনোনিবেশ করেন৷ এর আগে অনেকে নিজের ঘোড়া, উট, বাড়ি বাজি ধরে জুয়া খেলেছেন৷ পরে আবার অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন৷ কিন্তু এই প্রথম কেউ বউদের বিক্রি করল এবং পরে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও করলেন না৷”
মিশর থেকে সৌদি আরবে ওই পাঁচ যুবরানিকে কীভাবে ফেরত পাঠাবেন সেই চিন্তাই এখন কুড়েকুড়ে খাচ্ছে শামুনকে৷ তবে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি রাজ পরিবারের কেউ ফের ওই পাঁচ বউকে কিনে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও ক্যাসিনোর কয়েকজন কর্মী অনুমান করছেন৷ তা না হলে কয়েক মাসের মধ্যে ওই মহিলাদের ইয়েমেন, কাতারে নিলাম ডেকে বিক্রি করে দেওয়া হবে৷
যদিও সৌদির বিদেশমন্ত্রনালয়ে জানিয়েছে, এমন ঘটনায় দ্রুত দেনা মিটিয়ে মহিলাদের ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হবে৷ তবে যার জন্য এত অশান্তি তিনি কী করছেন? গোপন সূত্রে খবর, মিশর থেকে তিনি এখন পালিয়েছেন৷ পশ্চিম এশিয়ার কোনও একটি দেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তার সঙ্গে আছে প্রচুর নারীসঙ্গী৷ তাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন তিনি৷