কোন মাসে কোন পেশায় সফল জানতে চান
ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিটিক্স এর একদল বিজ্ঞানী এ গবেষণা পরিচালনা করেছেন। আসলে এখানে জ্যোতির্বিজ্ঞান খাটানো হয়নি। তারা ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন পেশায় নিয়োজিতদের জন্মের মাসটি খুঁজে বের করেছেন। এসব মানুষের গোটা জীবনে পেশা পরিবর্তনের বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছিলেন তারা। তাদের এ গবেষণায় আস্থা রাখলে আপনিও জানতে পারেন, জন্মের মাস অনুযায়ী আপনার কোন ধরনের পেশা বেছে নেওয়া উচিত যাতে সফলতা মিলবে।
জন্ম যখন ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে
যে শিশুদের জন্ম ডিসেম্বরে হয়েছে, তাদের দন্তচিকিৎসক হওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। এ পেশায় বেশ সফলও তারা। তবে একমাস বাদেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর অধিকাংশই ঋণ সংগ্রাহক হিসেবে ভালো করেছেন। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক যে ঋণ প্রদান করে তা গ্রহীতার কাছ থেকে তুলে আনার কাজটি জানুয়ারিতে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো সফলভাবে করতে পারেন।
জন্ম যখন ফেব্রুয়ারি ও মার্চে
গবেষণায় দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নেওয়া শিশুরা ছোটকাল থেকেই সৃষ্টিশীলতার চর্চায় বেশ আগ্রহী হয়ে ওঠে। তাদের বেশিরভাগই সফল আর্টিস্ট হয়েছেন। আর মার্চে জন্ম যাদের তারা সফলভাবে পাখা মেলতে পারেন। অর্থাৎ এদের অধিকাংশই পাইলট হিসেবে সফল ক্যারিয়ার গড়েছেন।
জন্ম যখন এপ্রিল ও মে-তে
মজার বিষয় দেখা গেছে এই দুই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষের মাঝে। তারা যেকোনো পেশা বেছে নিয়েছেন। সব ক্ষেত্রেই সফলতাও দেখিয়েছেন বেশ।
জন্ম যখন বসন্তে
গবেষণায় দেখা গেছে, এই মৌসুমে জন্ম নেওয়া শিশুরা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগেছে। পরিসংখ্যান তাই বলছে। তাদের পেশাগত দিক যাই হোক না কেন, স্বাস্থ্যগত দিকটা বেশি স্পষ্ট হয়েছে। এর কারণও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানান, এ সময়টা বসন্তকাল থাকে। শিশুর বিকাশ এবং জন্মমাসের মধ্যে সম্পর্ক বের করা সোজা কথা নয়। তবে গর্ভকালীন অবস্থায় সূর্যের আলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভ্রূণের গঠনে ভিটামিন ডি অতি গুরুত্বপূর্ণ। যাদের ভ্রূণ গঠন বা জন্মের সময় বসন্তকাল ছিল তারা সূর্যের আলো কম পেয়েছে। এতে সারাজীবন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগতে হতে পারে।
কথা হলো, পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এখানে ভবিষ্যত বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে সেনসাস ডেটা থেকে। এই গবেষণার তথ্য যে নির্ভুল তা বলেননি বিশেষজ্ঞরা। পরিসংখ্যানের কথাই তুলে ধরা হয়েছে।