প্রতিদিন এই দেবীর পুজো করুন, দেবীর উপকারে জীবন পাল্টে যাবে
কলকাতা টাইমস :
বেশিরভাগই একথা বিশ্বাস করেন যে যারা পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত কেবল তাদেরই মা সরস্বতীর পুজো করা উচিত। কিন্তু এই ধরনার মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। কারণ দেবী হলেন সর্বশক্তির আধার। তাই তো প্রতিদিন মায়ের আরাধনা করলে পড়াশোনায় তো উন্নতি ঘটেই, সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার,
১. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়: একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! নিয়নিত দেবীর আরাধনা করলে আমাদের আশেপাশে পজেটিভ শক্তির মাত্রা এতটা বেড়ে যায় যে তার প্রভাবে বুদ্ধির জোড় বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে ব্রেন পাওয়ারও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাভিবভাবেই কর্মক্ষেত্রে থেকে পড়াশোনা, যে কোনও ক্ষেত্রেই সফলতা লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
২. অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে: অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন যে, যে বাড়িতে মা সরস্বতী অবস্থান করেন, সেথানে মা লক্ষ্নীর আগমণ ঘটে না। কারণ জ্ঞান এবং পয়সা নাকি কোনও সময় এক জায়গায় থাকতে পারে না। কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখি বন্ধু, এই ধরণার মধ্যে কোনও সত্যতা নেই। বরং একথা বলতে পারি যে জ্ঞানই হল সেই রাস্তা যা সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দেয়। আর যখন সফলতার স্বাদ পাওয়া যায়, তখন জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতে সময় লাগে না। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটে চোখে পরার মতো।
৩. মনের জোর বাড়ে: বিজ্ঞান হয়তো এই ধারণাকে সত্য বলে মেনে নেবে না। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্রের উপর লেখা একাধিক গ্রন্থ অনুসারে নিয়মিত মায়ের আরাধনা করলে মেন্টাল পাওয়ার বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে মনের জোর এতটা বেড়ে যায় যে জীবন পথে চলতে চলতে সামনে আসা যে কোনও বাঁধাই আর বাঁধা মনে হয় না। ফলে কঠিন সময়েও সুখ এবং শান্তি রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে।
৪. জ্ঞানের বিকাশ ঘটে: এই জীবনে যা কিছু জানার, তা সবই কি জানতে চান, তাহলে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করার পাশাপাশি নিয়মিত দেবী সরস্বতীর পুজো করা শুরু করুন। দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হতে-নাতে! আসলে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন এক মনে দেবীর আরাধনা করলে জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ পূরণের পথ প্রশস্ত হয়।
৫. পরিবারে সুখ-শান্তি বাজায় থাকে: এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে প্রতিদিন সকালে উঠে শান্ত মনে মা সরস্বতীর পুজো করলে গৃহস্তের অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও খারাপ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা যেমন কমে যায়, তেমনি পরিবারে অন্দরে কোনও ধরনের অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তিতে যদি থাকতে চান, তাহলে মায়ের অরাধনা করতে ভুলবেন না যেন!
৬. লেখার ক্ষমতা বাড়বে: আপনি কি লেখক হতে চান? দেখতে চান নিজের নাম ছাপার অক্ষরে! তাহলে আজ থেকেই মা সরস্বতীর পুজো শুরু করুন। দেখবেন অপনার লেখার ধার বাড়বেই বাড়বে। কারণ এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নিয়নিত মনে মনে মা সরস্বতীর নাম নিলে লেখার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে কল্পনাশক্তিরও বিকাশ ঘটে। আর একজনের লেখকের লেখার ক্ষমতা এবং কল্পনাশক্তি যখন এক সঙ্গে বাড়তে থাকে, তখন স্বপ্ন পূরণ হতে যে সময় লাগে না, সে কথা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
৭. কু-দৃষ্টির প্রভাবে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে: শাস্ত্র মতে মা সরস্বতী হলেন শক্তির আধার। তাই তো নিয়িমত মায়ের অরাধনা করলে গৃহস্থের অন্দরে শুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কু-দৃষ্টির কারণে কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি গৃহস্থের অন্দরে নেগেটিভ এনার্জির মাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে বাকি জীবনটা নিরাপদে এবং সুখ-শান্তিতে কাটার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।