আপনার চাকরি এ তালিকায় থাকলেই হয়ে গেল …
কলকাতা টাইমস :
ক্যারিয়ার বাছাইয়ের সময় কত কিছুই না ভাবতে হয়। কোন কাজ ভালো লাগে, ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ কেমন, বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করতে হবে। আসলে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করতে গিয়ে সবাই এসব বিষয়টই বিবেচনা করেন। কেউ মানসিক চাপের বিষয়টি ভাবেন না। কিন্তু পরে বোঝা যায়। কাজের ধকল বা উদ্বেগ জীবনটাকে অস্থিরতায় ভরে তুলতে পারে। এখানে বেশ কিছু পেশার কথা তুলে ধরা হলো যেগুলোকে সর্বাধিক মানসিক চাপপূর্ণ পেশার তালিকায় স্থান দিয়েছেন ভারত। আমাদের দেশের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি খুব বেশি ব্যতিক্রম হবে না।
স্বাস্থ্যখাত
যারা এ খাতে চাকরি করেন তাদের অনেক চাপ নিতে হয়। থেরাপিস্ট, সেবিকা, চিকিৎসক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টরা ব্যাপক মানসিক চাপে ভোগেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। তারা ভয়ংকর রোগ দেখেন, মৃত্যু দেখেন এবং তা বাজে স্মৃতি হিসেবে টিকে থাকে। তাদের এ ধরনের বহু চাপ নিতে হয়।
আতিথেয়তার বিষয়
রেস্টুরেন্টে ওয়েটার বা ডেলিভারি বয়, কিংবা শেফ অথবা ম্যানেজার- সবাইকে ক্রেতার মনরক্ষার পেরেশানিতে তটস্থ থাকতে হয়। ক্রেতা যাই বলেন না কেন, হাসিমুখে তাকে সেবা দিয়ে যেতে হয়। সব ক্রেতাই ভদ্র হন না। তাই তাদের কাজে মানসিক চাপ অনেক বেশি।
সমাজকর্মী
এদের কাজও উদ্বেগে ঠাসা। সমাজে অসংখ্য সমস্যা নিয়ে তাদের কাছে ছুটে আসেন সবাই। এদের সামলে নিয়ে পরিস্থিতি বাগে আনা সত্যিকার অর্থেই এক কঠিন কাজ। মনের শান্তি খুব সহজে নষ্ট হয় তাদের। অন্যের সমস্যা মেটানো এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে গিয়ে নিজের শান্তি নষ্ট হয়।
যন্ত্রপাতির কাজ
মোটর মেকানিক্স বা কারখানার বড় বড় যন্ত্র সামাল দেওয়ার দায়িত্বে যারা থাকেন, তাদের চাকরিও একই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। তাদের কাজ অনেক ঝামেলার হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে বা ভারতে খুব কম পারিশ্রমীক পান তারা। এটাও মানসিক চাপের অন্যতম কারণ।
সেনাসদস্য
সব দেশের জন্যেই হয়তো এই চাকরি মানসিক চাপপূর্ণ। বিশেষ করে যারা দেশ রক্ষায় লড়াইপূর্ণ পরিবেশে আছেন বা যাওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছে, তাদের কাজটা সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভরপুর হয়। এসব পরিস্থিতিতে জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।