ইনহেলার নয়, হাঁপানি সারাতে করুন ঘরোয়া টোটকা!
কলকাতা টাইমস :
শীতকাল হাঁপানির রোগীদের জন্য ভালো সময় নয়। হাঁপানি রোগীরা সাধারণত ইনহেলার ব্যবহার করে থাকেন। আয়ুর্বেদ বলছে, কিছু ঘরোয়া টোটকা অনেকটাই এই কষ্ট কমাতে পারে। তাও আবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। ছোট-বড় সবাই এই কষ্টে ভুগছেন, একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন টোটকাগুলো। কিছুটা হলেও তো আরাম মিলবে—
কফি : শুধু শীতে নয়, সারা বছরই অনেকে কফি পান করেন। জানেন কি, হাঁপানির কষ্ট কমাতে কফির ওপর চোখ বুঁজে ভরসা করা যায়? গরম গরম এক কাপ কফি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায়। এতে আপনা থেকেই হাপানিও কমে। এছাড়া, শরীরের এনার্জি লেভেল বাড়ায়।
মধু : আয়ুর্বেদ মতে, ‘সর্ব রোগ হরে মধু’। এই তালিকায় কিন্তু হাঁপানিও আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ রাতে ঘুমোবার আগে এক চামচ মধুর সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়। সর্দি-কাশিতেও অনেক আরাম পাওয়া যায়।
সরষের তেল : গরম জলের মধ্যে ৫-৬ ফোঁটা সরষের তেল ফেলে দিন। এবার তোয়ালে দিয়ে মুখ-মাথা ঢেকে ধীরে ধীরে ভেপার নিন। বন্ধ নাক খুলে যাবে। ম্যাজিকের মতো কাজ হবে। শ্বাস নিতে আর কষ্ট হবে না।
লেবু : লেবু ইক্যুয়ালটু প্রচুর ভিটামিন সি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস জলের মধ্যে লেবুর রস এবং সামান্য চিনি দিয়ে রোজ খেয়ে দেখতে পারেন। হাঁপানির কষ্ট অনেক কমবে।
আদা : সর্দি-কাশি কমাতে আদা ব্যবহার আজকের নয়। আদার রসে যেমন খুসখুসে কাশি কমে তেমনি হাপানির কষ্ট থেকেও রেহাই মেলে। এর জন্য কি করতে হবে? ছোট এক বাটি জলে এক টুকরো আদা থেঁতো করে ফেলে দিয়ে ফোটান। মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে সেই মিশ্রণ পান করে নিন। শুধু নয়, ফুসফুসের রোগ নয়, পেটের অনেক রোগেও সমান উপকারি আদার রস।
রসুন : সরষের তেলে রসুন থেঁতো করে দিয়ে হালকা গরম করে সেই তেল বুকে মালিশ করলে সর্দি কমে। তেমনি এক কাপ দুধের মধ্যে ৩-৪ কোয়া রসুন ফেলে ফুটিয়ে সেই দুধ পান করলে হাপানির কষ্ট কমে। ফুসফুসের যেকোনও রোগে আর বাতের ব্যথা কমাতে রসুনের রস খুবই উপকারি।
পেঁয়াজ : পেঁয়াজ যে কোনও প্রদাহ থেকে হওয়া রোগ কমাতে সিদ্ধহস্ত। পেঁয়াজের ঝাঁজ নাক খুলে দিতে সাহায্য করে। নাসাপথ ও নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই চাইলে শ্বাসকষ্ট কমাতে কাটা পেঁয়াজ খেয়ে দেখতে পারেন।