অবশেষে ছাড়া পাবেন জম্মুর নেতারা, কিন্তু কাশ্মীরি নন …
কলকাতা টাইমস :
প্রায় দু’মাস কেটে গেছে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের্ । কাশ্মীর উপত্যকার রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের সরকারি ওই সিদ্ধান্তের আগে থেকেই গৃহবন্দি করা হয়েছিল। জম্মু–কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহ, ফারুক আবদুল্লাহসহ অনেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা এখনও গৃহবন্দি রয়েছেন।
আজ বুধবার জম্মু অঞ্চলের রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কাশ্মীর উপত্যকার হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের মুক্তির দেওয়ার ব্যাপারে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না মোদি সরকার। কবে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জম্মু-কাশ্মীরে কিছুদিনের মধ্যেই ব্লক স্তরে নির্বাচন। নির্বাচনের কাজে রাজনৈতিক নেতারা যাতে মন দিয়ে কাজ করতে পারেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখেই তাঁদের চলাচলের ওপর সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
সরকারের দাবি, জম্মুর পরিস্থিতি এই মুহূর্তে স্বাভাবিক। আর সেই কারণেই রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের দেবেন্দ্র রানা, জাভেদ রসুল, রমন ভাল্লা, বিকার রসুল, বিজেপির চৌধুরি লাল সিংহ এবং প্যান্থার্স পার্টির হর্ষদেব সিংসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টির দেবেন্দ্র রানা জানান, গতকাল বিকেলে এক পুলিশ আমাকে এসে জানান, বুধবার থেকে আমার ওপর আর কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
এদিকে, জম্মুর নেতাদের মুক্তি দেওয়া হলেও মূল কাশ্মীর উপত্যকার নেতাদের কবে মুক্তি দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাচ্ছে না সরকার। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের দুমাস পরেও সেখানকার স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার? আর সেই ভয়েই কি মুফতি ও আবদুল্লাহদের মুক্তি দিতে ভয় পাচ্ছে মোদি সরকার।