November 22, 2024     Select Language
Editor Choice Bengali KT Popular রোজনামচা

পাকিস্তানে সেনা অভ্যুথানের কোড ১১১, ইমরানের পত্তনের দিন স্থির 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

ফের সামরিক অভ্যুত্থান ঘটতে চলেছে পাকিস্তানে ? ফের একবার কি প্রাক্তন সেনা প্রধান পারভেজ মুশারফ শাসনভার নিজ হাতে নিতে চলেছেন ? সম্প্রতি পাক সেনা প্রধানের বৈঠক তো সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বাদ দিয়েই পাকিস্তানের শিল্পপতিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া। ওই বৈঠকে দেশের আর্থিক ঘাটতি, দুর্নীতি, প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি কমে আসার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রথম সারির দৈনিক ‘দা ডন’ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা প্রধান পারভেজ মুশারফ তার চিকিৎসার সঙ্গেই এক রাজনৈতিক বৈঠক সারেন যা থেকে বোঝা যাচ্ছে ফের একবার পাকিস্তান সামরিক অভুত্থানের দিকে এগোচ্ছে। শুধু তাই নয় ফের একবার পাকিস্তানের শাসনভার প্রাক্তন সেনা প্রধান পারভেজ মুশরাফের হাতেই আস্তে চলেছে।

পাকিস্তানে বারবার সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে। সে কারণে ওই বৈঠককে কেন্দ্র করে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে কি নীরব সামরিক অভ্যুত্থানের পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান? কূটনীতিকদের মধ্যে এখন এমন প্রশ্নই ঘুরছে।

পাকিস্তানের ইতিহাসে সামরিক বাহিনী অনেক সময়ই সরকারের চেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে। তা ছাড়া, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়ে ইমরান খান এখন নিজের দেশেই বিরোধের মুখে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী।

করাচি ও রাওয়ালপিন্ডির সামরিক দফতরে চলতি বছর এমন তিনটি বৈঠক ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, বৈঠকে বাজওয়া শিল্প মহলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন করেছেন, কীভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা যায়। বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশও পৌঁছে গেছে সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে।

ওই বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্তব্য করতে চাননি সেনা মুখপাত্র আসিফ গফুর। যদিও পাক সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুধবার বাজওয়া শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু শিল্পপতি ও আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিবৃতিতে বাজওয়া বলেছেন, অর্থনীতির সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

বেহাল অর্থনীতির প্রভাব পড়েছে পাক সেনাবাহিনীতে। এক দশকের মধ্যে এই প্রথম ২০২০’র আর্থিক বর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে কোনো বৃদ্ধিই হয়নি। সামরিক প্রধানের ভূমিকাকে পাকিস্তানের শিল্পপতি এবং আর্থিক উপদেষ্টারা স্বাগত জানিয়েছেন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। তাদের অনেকেই বলছেন, ব্যবসায়ীরা ইমরান খানের দলকে ততটা যোগ্য মনে করছেন না। তবে অনেকের মতে, সেনাবাহিনীর গুরুত্ব বেড়ে গেলে পাকিস্তানে গণতন্ত্র বিপন্ন হবে।

যদিও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এর আগে বলেছেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার সরকারের কাজ করতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। তিনিই ৫৮ বছর বয়সী বাজওয়াকে গত আগস্টেই আরও তিন বছরের জন্য পদে বহাল রেখেছেন। যদিও বাজওয়া প্রাথমিকভাবে দায়িত্বের মেয়াদবৃদ্ধিতে আগ্রহী ছিলেন না।

Related Posts

Leave a Reply