আগেই জানতে চান ভবিষ্যতে মা হিসেবে কেমন হবেন ?
মা হিসেবে আপনি কেমন? আপনার সন্তানের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু? নাকি বেশ কড়া ধাঁচের? ছেলেমেয়েকে একটু অতিরিক্ত প্রশ্রয় দেন? নাকি নিজের কেরিয়ার নিয়েই ব্যস্ত? জানেন কি, এ সবই জানা যায় রাশিচক্র থেকেই? হ্যাঁ, আপনার কোনরাশি, তাই বলে দেবে আপনি কেমন মা? প্রত্যেক রাশির জাতিকার একটি নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে, যার প্রভাব পড়ে তাঁর মাতৃত্বেও।
মেষ: মেষ রাশির জাতিকারা অত্যন্ত ব্যক্তত্বময়ী হন। এঁদের ইচ্ছাশক্তিও যথেষ্ট প্রবল। ব্যক্তিস্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরতায় এঁরা বিশ্বাস করেন। এই মানসিকতার প্রভাব এঁদের সন্তান মানুষ করার ওপরেও পড়ে। সবটা সময় শুঝু সন্তানের জন্য না দিয়ে নিজের জন্যও যে কিছুটা সময় রাখা জরুরি, সে কথা এই মা-রা বেশ ভালোই বোঝেন।
বৃষ: আপনি যদি বৃষের জাতিকা হন, তাহলে মা হিসেবে আপনি বেশ ভারসাম্য রক্ষা করে চলেন। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা আপনি বেশ ভালো ভাবেই করতে পারেন। এই রাশির জাতিকারা রুটিন মেনে চলতে ভালোবাসেন। সন্তানের মধ্যেও নিয়মানুবর্তিতা চালু করতে চান এঁরা। যেমন রাতের শুতে যাওয়া, সকালে ওঠা, খাওয়া – এ সবের জন্য নির্দিষ্ট সময় মেনে চলতে ভালোবাসেন এঁরা।
মিথুন: মিথুন রাশির জাতিকা হলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আপনি ভালোবাসেন। নতুন টেকনোলজি হোক বা নতুন ফ্যাশন – সব কিছুরই আপনি খোঁজ রাখেন। তাই সহজেই সন্তানের ভালো বন্ধু আপনি হয়ে উঠতে পারেন। অভিভাবকের থেকেও বেশি একজন সমবয়সী বন্ধুর খোঁজ আপনার মধ্যে আপনার ছেলে-মেয়েরা পায়।
কর্কট: কর্কট মা-এরা সন্তানকে সবচেয়ে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসতে পারেন। ছেলে-মেয়ের খেয়াল রাখা, যত্ন করার বিষয়ে এঁরা কারোর ওপর নির্ভর করেন না। নিজেই সবকিছু করেন। সন্তানের বিষয়ে একটু অতিরিক্ত যত্নশীল হন এঁরা। তবে কর্কটের জাতিকাদের মেজাজের তারতম্য খুব পরিচিত বিষয়। সে কারণে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছনো সন্তানের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝামেলাও লাগতে পারে।
সিংহ: সিংহ রাশির জাতিকারা মা হওয়ার পরেও সব সময় এনার্জির তুঙ্গে থাকেন। সন্তানের সঙ্গে খেলাধুলো, হাসি-মজা এঁরা করেই থাকেন। তাই ছেলে-মেয়ের কাছে এঁরা অত্যন্ত প্রিয় হন। সন্তানের সব অ্যাক্টিভিটিতেই এঁরা যুক্ত থাকেন। তবে কিছুটা আত্মকেন্দ্রিকও হন এঁরা। অনেক সময় সন্তানরা প্রয়োজনে এঁদের পায় না।
কন্যা: আপনি যদি কন্যা রাশির জাতিকা হন, তাহলে এক কথায় বলা যেতে পারে যে আপনি হলেন ‘পারফেক্ট মম’। মাতৃত্বের এ থেকে জেড পর্যন্ত এঁদের নখদর্পণে। সন্তানের কিসে ভালো হবে, কোন অভ্যাস তৈরি করলে তা ভবিষ্যতে কাজে দেবে – সব এঁদের আয়ত্তে। কিন্তু সন্তানের বিষয়ে অন্য কারোর পরামর্শ এঁরা পছন্দ করেন না।
তুলা: তুলা রাশির জাতিকারা মা হিসেবে সবচেয়ে ধৈর্যশীল। সন্তানের প্রায় সব ভুলই এঁরা ক্ষমা করে দেন। এঁদের সাংস্কৃতিক বোধ বেশ ভালো। যা এঁরা তাঁদের সন্তানদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেন।
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির জাতিকারা মা হিসেবে বেশ খামখেয়ালি। নিজেরা যেটা ভালো বোঝেন, সেটাই করেন। সন্তানের ভালো-মন্দ নিয়ে অন্যের মতামতের তোয়াক্কা করেন না এঁরা। মা হিসেবে কখনও খুব ভালো, পর মুহূর্তেই অত্যন্ত কড়া হয়ে যান এঁরা। যা তাঁদের সন্তানের পক্ষে হজম করা একটু কঠিন হয়ে যায়।
ধনু: এঁরা খুব অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় হন। তাই মায়ের সঙ্গে ঘুরে এঁদের সন্তানেরাও নিত্য-নতুন জায়গা দেখে বেড়াবে। এঁরা স্বচ্ছ্ব সম্পর্কে বিশ্বাস করেন। এই আদর্শ এঁরা এঁদের সঙ্গেও বজায় রাখেন। তবে মাঝেমধ্যে একটু বেশিই অধৈর্য্য হয়ে পড়লে ছেলে-মেয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হতে পারে।
মকর: মকর রাশির জাতিকারা তাঁদের পরিবারের প্রধান স্তম্ভ। এঁরা অত্যন্ত কর্মপটু ও নির্ভরযোগ্য। সন্তানের জীবনে এঁরা হলেন রোল-মডেল। তবে এঁরা একটু বেশিই সিরিয়াস প্রকৃতির হন।
কুম্ভ: এঁরা অত্যন্ত স্বাধীন প্রকৃতির হন। সব সময়েই হাসি-মজার মধ্যে থাকতে ভালোবাসেন এঁরা। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতোই মিশতে ভালোবাসেন এঁরা। তবে এতে অনেক সময় সন্তানের থেকে প্রাপ্য সম্মান থেকেও কিছুটা বঞ্চিত হন এঁরা।
মীন: পরিবার ও সন্তানের প্রতি মীন রাশির মহিলারা নিবেদিত-প্রাণ হন। নিজের পুরো সময়টাই সন্তানের জন্যই খরচ করেন এঁরা। মীন রাশির মহিলারা সৃজনশীল প্রকৃতির হন। নিজেরা যা চান, সেটা কোনও না কোনও ভাবে আদায় করে নেন এঁরা।