অন্ধদের ‘যে হাত জীবন বাঁচাতে পারে’ মারাত্মক রোগ থেকেও

কলকাতা টাইমস :
সারা বিশ্বে স্তন ক্যান্সারে মহিলাদের মৃত্যুর হার বাড়ছে। সাধারণত ৫০ বছরের ওপরে যাদের বয়স তাদের মধ্যে এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। স্তন ক্যান্সার থেকে জীবন রক্ষার একটি উপায় হলো, যতো দ্রুত সম্ভব এটিকে শনাক্ত করা। আর কলম্ববিয়াতে এই কাজে লাগানো হয়েছে অন্ধ ব্যক্তিদের।
কোনো মহিলার স্তন ক্যান্সার হয়েছে কি-না, কলম্বিয়াতে সেটা অন্ধ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা পরীক্ষা করে দেখছেন। এই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘যে হাত জীবন বাঁচাতে পারে’।
অন্ধদের দিয়ে স্তন পরীক্ষার এই উপায়টি উদ্ভাবন করেছেন জার্মান গাইনোকোলজিস্ট ড. ফ্রাঙ্ক হোফম্যান। তাদের স্পর্শ অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার ব্যাপারে তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজে লাগানো হয়েছে।
ড. হোফম্যান জানান, ‘স্তন পরীক্ষা করতে গিয়ে আমরা নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এটি জার্মানিতে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে স্তনের পুরো এলাকায় আঠাযুক্ত টেপ লাগিয়ে প্রত্যেক ইঞ্চি পরীক্ষা করে দেখা হয়। এর মাধ্যমে স্তনের সামান্য কোনো অংশ যাতে পরীক্ষা থেকে বাদ পড়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করা হয়। যদি অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায় তাহলে তাকে ডাক্তারের কাছে পাঠানো হয়। এর পর তাকে কী ধরনের চিকিৎসা দেয়া হবে, ওই চিকিৎসকই তা ঠিক করেন।’
ডা. লুইস আলবার্তো ওলাভ বলছেন, ‘একজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক স্তনের লাম্প এক সেন্টিমিটারের চেয়ে বড় হলে সেটা ধরতে পারেন। কিন্তু আমরা দেখেছি যে একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এর চেয়ে ছোট আকারের মাংসের দলাও শনাক্ত করতে পারেন। এরকম ক্ষুদ্রাকৃতির লাম্প ধরতে পারাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এতেই বেশি সময় লেগে যায়।’