এই বাঁশির ‘সুর’ শুনলে তৎক্ষণাৎ থেমে যাবে হৃৎস্পন্দন !
রাতের বেলা অন্ধকারে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটার সময় হঠাৎ কোনো আওয়াজ শুনলে ভয়ের অন্ত থাকে না। শ্মশান বা কবরখানে রাতের আসমান চিরে দেওয়া নিশাচর কোনো পাখির ডাক শুনলে তো জান বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মেক্সিকোর প্রাচীন ও বিলুপ্ত আজটেক সভ্যতাই তৈরি করে ছিল সব থেকে ভয়ের শব্দকে। এই আওয়াজ আজটেক ডেথ হুইসেলের।
ঠিক কী কাজে এই বাঁশি ব্যবহার করা হতো, তা আজ আর জানা যায় না। বেশ কিছু প্রত্নতত্ত্ববিদ মনে করেন, শত্রুপক্ষকে ভয় দেখানোর জন্য এই বাঁশি ব্যবহার করা হতো। আবার কেউ মনে করেন, আজটেক সভ্যতায় নরবলি দেওয়ার সময়ে এই বাঁশি বাজানো হতো।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সাল নাগাদ প্রত্নতত্ত্ববিদরা এক কঙ্কাল খুঁজে পান, যার হাতে ছিল একটি ডেথ হুইসেল। এই কঙ্কালটি পাওয়া যায় বাতাসের দেবতার মন্দিরে। তাই অনেকে মনে করেন, এই বাঁশি বাজিয়ে বাতাসকে আহ্বান করা হতো।
সম্প্রতি মেক্সিকান গবেষক রোবার্তো ভেলাজকোয়েথ জানান, কোনো বিশেষ উৎসবে এই বাঁশি বাজানো হতো। সেটা কীসের উৎসব, তা নিয়ে অবশেষে কোনো কথা বলেননি পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রোবার্তো।