শিশুকে আরো একটু বুদ্ধিমান করতে দারুন কার্যকর এগুলি !
কলকাতা টাইমস :
পরীক্ষায় বাজে ফলাফলে সন্তানদের নিয়ে দারুণ দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। তবে নতুন এক গবেষণা আপনাদের আশার আলো দেখাবে। এতে বলা হয়, পরিবেশগত নানা চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয় শিশুর বুদ্ধিমত্তা। আবার যখন সেই চাহিদাগুলো আর থাকে না তখন বুদ্ধিমত্তা তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। ফলস্বরূপ পরিবেশগত বিভিন্ন চাহিদার মধ্যবর্তিতা শিশুর বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করে। তবে এটা স্থায়ী হয় না।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা বারবারার গবেষক জন প্রোতজকো জানান, আইকিউ স্কোর এবং সাধারণ জ্ঞান উভয়ই পরিবেশ থকেই বৃদ্ধি পায়। তবে যা পাওয়া যায় তা স্থায়ী হয় না এবং সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যায়।
শিশুদের হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম-এর একটি গবেষণা বিশ্লেষণ করেন জন। সেখানে ৬৮৫ জন শিশুর ওপর গবেষণা পরিচালিত হয়। দেখা যায়, জীবনের প্রথম ৩ বছরের মধ্যে ওই শিশুরা পরিবেশ থেকে নানা উপাদান দৃঢ়ভাবে মস্তিষ্কে ধারণ করতে চাইছে। কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণের ফলে তাদের মস্তিষ্কে যে পরিপক্কতার অভাব রয়েছে তা পূরণ করে পরিবেশগত উপাদান।
তিন বছর বয়সে স্ট্যাফোর্ড-বাইনেট ইন্টেলিজেন্স স্কেলস-এর মাধ্যমে শিশুদের পরীক্ষা করা হয়। এ পদ্ধতিতে জ্ঞান, যুক্তিবোধ, চোখে দেখে স্থান নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়। পরবর্তিতে ৫ এবং ৮ বছর বয়সে তাদের বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে দুই বার দুই বছরের মধ্যবর্তিতা ছিল। এ সময় তারা পরিবেশ থেকে শিক্ষা পেয়েছে।
প্রথম অবস্থায় ৩ বছর বয়সে তারা বেশ বুদ্ধিমান হয়ে ওঠে। কিন্তু ৫ বছর বয়সের মধ্যে তাদের বুদ্ধি আরো বেশি বৃদ্ধির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে একটি তত্ত্বের মাধ্যমে তাদের সার্বিক বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় আনা যায়। কারণ বয়সের দুটো স্তরের বুদ্ধিমত্তার মধ্যে সমন্বয় ঘটে। এক বয়সের বুদ্ধিমত্তা অন্য বয়সের বুদ্ধিমত্তায় কিছু যোগ করে। কাজেই বয়সের মধ্যবর্তিতায় পরিবেশ শিশুদের বুদ্ধিমত্তা প্রদান করে।