November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

এর মত হঠাৎই আপনিও হয়ে যেতে পারেন একটি দেশের গোটা মালিক, কিভাবে  

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

কটি দেশের মালিক কে? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। কিন্তু কেউ যদি বলে বসেন, তিনি গোটা একটা দেশের মালিক—প্রথম রাজা? আর প্রেসিডেন্ট তাঁর বাবা? দেশটির আছে নিজস্ব জাতীয় পতাকাও। কী, গল্প মনে হচ্ছে? মোটেও না। শুনুন তাহলে। ভারতের ইনদোরের এক তরুণ এমন দাবি করে ওই দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর নাম ‘রাজা সুযশ দীক্ষিত’। নামের আগে রাজকীয় কেতাবে ‘হিজ হাইনেস’ কথাটা লাগান তিনি।

মিসর ও সুদানের মধ্যবর্তী ৮০০ বর্গমাইল এলাকাকে সুযশ নিজের রাজ্য বলে দাবি করেছেন। ওই রাজ্যের নাম রেখেছেন ‘কিংডম অব দীক্ষিত’। নিজের ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে সুযশ লিখেছেন, ‘নিজেকে “কিংডম অব দীক্ষিত”–এর রাজা হিসেবে ঘোষণা করছি। আজ থেকে আমি রাজা সুযশ। দাবিদারহীন বীর তাউইল অঞ্চল আজ থেকে আমার দেশ। আমি এই দেশ ও দেশের নাগরিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাব।’

সুযশ দীক্ষিত বলেছেন, তিনি দেশটির সবকিছুতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান। তিনি বলেন, দেশ চালাতে অর্থের দরকার। এ কারণে আপাতত কেউ চাইলে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট হতে পারে। দেশটির নাগরিকেরা অনলাইনের মাধ্যমে সবাই সম্পর্কযুক্ত থাকবেন। প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২৪ বছর বয়সী সুযশ একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করছেন। ঘোরাঘুরি তাঁর নেশা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে ঘুরতেই কথিত একটি দেশের মালিক বনে গেছেন তিনি। তাঁর দেশটিতে এখন পর্যন্ত নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আট শতাধিক মানুষ অনলাইনে আবেদনও করে ফেলেছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিসর ও সুদানের মধ্যবর্তী বীর তাউইল নামের ওই অঞ্চল কারও দখলে নেই। এলাকাটি দুর্গম। অনেক কষ্ট করে দিন কুড়ি আগে একজন চালককে রাজি করিয়ে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন সুযশ। গিয়ে জানতে পারেন, কোনো দেশই এলাকাটির দাবিদার নয়। একসময় ওই এলাকায় মানুষের বাস ছিল। কিন্তু বহু বছর ধরে কোনো মানুষ আর এখানে থাকেন না।

খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ২০১৪ সালে মার্কিন নাগরিক জেরেমি হিটন নামের এক ব্যক্তি এই এলাকার রাজা হওয়ার দাবি করেছিলেন। পরে তিনি তা ছেড়ে চলে যান। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, কোনো এলাকা নিজের বলে দাবি করলে সেখানে শস্য ফলাতে হয়। আর এ কারণেই ওই এলাকায় শষ্য লাগিয়ে তা নিজের বলে দাবি করেছেন। পরে তিনি লাল ও হলুদ রঙের পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছেন।

সুযশ বলেন, দেশটিতে মানুষ নেই। এই মুহূর্তে দেশটিতে মানুষের বদলে অসংখ্য টিকিটিকি রয়েছে। এ কারণে দেশটির জাতীয় প্রাণী হিসেবে টিকটিকির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া মিসরের বন্ধুদের সহায়তায় তিনি সেখানে আপাতত কিছু তাঁবু খাটানোর চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া তিনি দেশটির আবদুল রহমান রাফাই নামের এক ব্যক্তিকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানেই থাকছেন। কারণ, কোনো একটি এলাকাকে নতুন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘে শর্ত হলো, সেখানে স্থায়ী বাসিন্দা থাকতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুযশ বর্তমানে ভারতে ফিরেছেন। আগামী বছর তিনি আবার সেখানে যাবেন। তত দিন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল রহমান রাফাই দেখভাল করবেন। সুজশের বাবা রাজেশ কুমার দীক্ষিত প্রাক্তন বিজ্ঞানী ও নিউ হুকার সায়েন্স কলেজের একটি বিভাগের প্রধান। তাঁর মা সংগীতা গৃহিণী।

বাবা রাজেশ কুমার দীক্ষিতের জন্মদিনে সুযশ বিশেষ উপহার দিতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই তিনি বাবার জন্মদিনে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন। দেশটির স্বীকৃতি চাইতে শিগগির জাতিসংঘে আবেদন করবেন তিনি।

Related Posts

Leave a Reply