আপনার কি ‘স্লিপ ডিভোর্স’ এর কথা ভাবছেন ?

স্লিপ ডিভোর্স’ কথাটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত নন। কিন্তু এটি কোনো ডিভোর্স নয়। দম্পতিরা একত্রে ঘুমাতে গেলে একটি সমস্যাতে প্রায়ই পড়েন। তা হলো একজনের নাক ডাকা কিংবা অন্য কোনো শব্দ বা আচরণ অন্যজনের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা। এ সমস্যা দূর করতে পারে স্লিপ ডিভোর্স।
‘স্লিপ ডিভোর্স’ মূলত ঘুমের সময়টি দম্পতিদের আলাদা থাকার ব্যবস্থা। বর্তমানে বহু সম্পর্ক বিশেষজ্ঞই এ ব্যবস্থা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে রিলেশনশিপ কাউন্সিলর ড. নন্দিনি রায় বলেন, ”আমি বহু নারীকে দেখেছি তারা তাদের স্বামীকে যথেষ্ট ভালোবাসেন। কিন্তু তাদের সম্পর্ক ঘুমের সমস্যার কারণে বিঘ্নিত হয়। কখনো কখনো তারা সম্পর্ক নিয়ে সমস্যায় পড়েন এবং আলাদাভাবে থাকতে চান। এটি বিবাহিত দম্পতিদের জন্য অনেকটা উভয় সংকটের মতো। কারণ বিয়ের পর দম্পতিদের একসঙ্গে থাকাটাই রীতি। কিন্তু এ সমস্যা চলতে থাকলে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ হতে পারে একটি সমাধান। যেখানে দম্পতিরা আলাদা থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।”
‘স্লিপ ডিভোর্স’ কী?
‘স্লিপ ডিভোর্স’কে অনেকেই নাইট ডিভোর্স বলেন। এর অর্থ দাঁড়ায় রাতে ঘুমানোর জন্য দম্পতিদের বিচ্ছেদ। দম্পতিদের একজনের বা উভয়ের একে অপরের কোনো কারণে যদি ঘুমে অসুবিধা করেন তাহলে রাতে ঘুমানোর সময় পৃথকভাবে থাকতে হয়। এতে নানা ধরনের অসুবিধাগুলো দূর হয় এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকে।
কখন ‘স্লিপ ডিভোর্স’ জরুরি হয়ে পড়ে?
সাধারণত নানা কারণে দম্পতিরা আলাদাভাবে ঘুমাতে চান না। এতে সামাজিক চাপও পড়তে পারে। তবে দম্পতিরা যদি একজনের নাক ডাকা কিংবা কথা বলা, নড়াচড়া করা ইত্যাদি কারণে অন্যজনের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটান তাহলে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ জরুরি হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে অন্য বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা না করে পৃথকভাবে ঘুমানো যেতে পারে। এ ছাড়া রয়েছে উভয়ের ঘুমের ভিন্ন সময়। এটি মানিয়ে চলতেও ‘স্লিপ ডিভোর্স’ যথেষ্ট কার্যকর। পর্যাপ্ত ঘুম মানুষের মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয়। দম্পতিরা যখন পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারে তখন তাদের মন-মেজাজও ঠাণ্ডা থাকে। আর তাই আলাদাভাবে ঘুমানোর ফলে উভয়ের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ কমে যায় এবং দাম্পত্যে শান্তি আসে।