আপনার ফেসবুক পোস্ট ব্যবহার হতে পারে আপনারই বিরুদ্ধে, সাবধান!
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
সম্প্রতি ফেসবুকের পোস্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হওয়ার উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আদালতেও বহু বিষয়ে নিষ্পত্তি করা জটিল হয়ে পড়ছে। দিন দিন এ ব্যবহার বাড়ছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
কয়েক বছর সালে ড্যানি কিউয়েস্টা নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন মেলিসা নামে এক মহিলা । অভিযোগে জানানো হয়, সে ব্যক্তি তাকে নিয়ে মোটেলে যান এবং সেখানে ধর্ষণ করেন। এছাড়া আরও কয়েকবার তিনি ধর্ষণ করেন তাকে। এ সময় সাক্ষি হিসেবে আরও দুই মহিলা এগিয়ে আসেন। তারা জানান, ড্যানি তাদেরও আঘাত করেছেন। এ অভিযোগে ড্যানি কিউয়েস্টার ১৫ মাসের জেল হয়।
এরপর মেলিসা আরেকটি মামলা করেন সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাতে তিনি যৌন হয়রানি, নিয়মিত যৌন নির্যাতন ও এর ফলে মানসিক ও শারীরিক নানা ক্ষতির দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি আইনজীবীরা যখন খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তখন মেলিসার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও সামনে চলে আসে। আর এতে দেখা যায়, সে সময় মেলিসা তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর ছবি পোস্ট করেছেন। বিষয়টির অনুসন্ধানে তাদের আরও একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায় যেখানে তার ভেটেরিনারি হাসপাতালে কাজ করা, পাহাড়ে চড়া ও বন্ধুদের সঙ্গে পানাহারের চিত্র পাওয়া যায়।
আইনজীবীরা এ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আদালতে দাবি করেন তার ফেসবুকের অ্যাকাউন্টে মানসিক ও শারীরিক নানা ক্ষতির দাবির কোনো প্রমাণ নেই। বরং এ সময়ে তিনি তার জীবন উপভোগ করে বেড়াচ্ছেন এমন ধারণাই পাওয়া যায়।
আদালতের নির্দেশে এরপর মেলিসার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিতও জমা দিতে হয়। যেখানে বিষয়টি প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যায় যে, তিনি নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
এ ধরনের আরেকটি ঘটনার কথা জানা যায় ক্যাথলিন রোমানোর ক্ষেত্রে। তিনি ২০০৩ সালে কর্মস্থল স্টোনলি ব্রুক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে চেয়ার ভেঙে পড়ে যান। এতে তার মেরুদণ্ডে আঘাত লাগে এবং তিনি নড়াচড়ায় খুবই অসুবিধা বোধ করেন। আর এ কারণে তিনি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলাও করেন।
কিন্তু আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে তার ফেসবুকের পোস্টগুলো প্রকাশ করেন। এসব পোস্টে দেখা যায় তিনি বিভিন্ন ছবিতে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন। এছাড়া তার সে আঘাত পাওয়ার কোনো লক্ষণও প্রকাশিত হয়নি পোস্টগুলোতে।
এরপর তার মামলাটি ঝুলে যায়। দীর্ঘ ১২ বছরেও এ মামলাটির কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। কারণ আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে তার ফেসবুক পোস্টগুলোকে তুলে ধরেছেন। তার কিছু ছবিতে দেখা যায় তিনি মোটরসাইকেলে চড়েছেন কিংবা বিভিন্ন শারীরিক অনুশীলন করছেন। ফলে তিনি যে আঘাত পেয়ে বিপর্যস্ত হয়েছেন, সে বিষয়টি প্রমাণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
কয়েক বছর সালে ড্যানি কিউয়েস্টা নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন মেলিসা নামে এক মহিলা । অভিযোগে জানানো হয়, সে ব্যক্তি তাকে নিয়ে মোটেলে যান এবং সেখানে ধর্ষণ করেন। এছাড়া আরও কয়েকবার তিনি ধর্ষণ করেন তাকে। এ সময় সাক্ষি হিসেবে আরও দুই মহিলা এগিয়ে আসেন। তারা জানান, ড্যানি তাদেরও আঘাত করেছেন। এ অভিযোগে ড্যানি কিউয়েস্টার ১৫ মাসের জেল হয়।
এরপর মেলিসা আরেকটি মামলা করেন সে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাতে তিনি যৌন হয়রানি, নিয়মিত যৌন নির্যাতন ও এর ফলে মানসিক ও শারীরিক নানা ক্ষতির দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি আইনজীবীরা যখন খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তখন মেলিসার ফেসবুক অ্যাকাউন্টও সামনে চলে আসে। আর এতে দেখা যায়, সে সময় মেলিসা তার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানোর ছবি পোস্ট করেছেন। বিষয়টির অনুসন্ধানে তাদের আরও একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায় যেখানে তার ভেটেরিনারি হাসপাতালে কাজ করা, পাহাড়ে চড়া ও বন্ধুদের সঙ্গে পানাহারের চিত্র পাওয়া যায়।
আইনজীবীরা এ বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আদালতে দাবি করেন তার ফেসবুকের অ্যাকাউন্টে মানসিক ও শারীরিক নানা ক্ষতির দাবির কোনো প্রমাণ নেই। বরং এ সময়ে তিনি তার জীবন উপভোগ করে বেড়াচ্ছেন এমন ধারণাই পাওয়া যায়।
আদালতের নির্দেশে এরপর মেলিসার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিতও জমা দিতে হয়। যেখানে বিষয়টি প্রমাণ করা কঠিন হয়ে যায় যে, তিনি নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
এ ধরনের আরেকটি ঘটনার কথা জানা যায় ক্যাথলিন রোমানোর ক্ষেত্রে। তিনি ২০০৩ সালে কর্মস্থল স্টোনলি ব্রুক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে চেয়ার ভেঙে পড়ে যান। এতে তার মেরুদণ্ডে আঘাত লাগে এবং তিনি নড়াচড়ায় খুবই অসুবিধা বোধ করেন। আর এ কারণে তিনি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলাও করেন।
কিন্তু আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে তার ফেসবুকের পোস্টগুলো প্রকাশ করেন। এসব পোস্টে দেখা যায় তিনি বিভিন্ন ছবিতে হাসিমুখে পোজ দিয়েছেন। এছাড়া তার সে আঘাত পাওয়ার কোনো লক্ষণও প্রকাশিত হয়নি পোস্টগুলোতে।
এরপর তার মামলাটি ঝুলে যায়। দীর্ঘ ১২ বছরেও এ মামলাটির কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। কারণ আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে তার ফেসবুক পোস্টগুলোকে তুলে ধরেছেন। তার কিছু ছবিতে দেখা যায় তিনি মোটরসাইকেলে চড়েছেন কিংবা বিভিন্ন শারীরিক অনুশীলন করছেন। ফলে তিনি যে আঘাত পেয়ে বিপর্যস্ত হয়েছেন, সে বিষয়টি প্রমাণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।