বাগদাদি হত্যার হিরো মার্কিন সেনা নয়, এরা … রহস্য ফাঁস ইরাকের গোয়েন্দা প্রধানের
কলকাতা টাইমস :
ইসলামিক স্টেট প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির মৃত্যুতে রীতিমতো নিজের বুক নিজেই চাপড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে মার্কিন ডেল্টা ফোর্স’র গোপন অভিযানের নায়ক যে অন্য্ কেউ তাই প্রমাণিত হল এবার সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে বাগদাদির অবস্থান জানার চেষ্টা করছিলেন ইরাকের গোয়েন্দারা। তাদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতেই বাজিমাত করে মার্কিন সেনারা।
সম্প্রতি সিএনএনকে সাক্ষাৎকার দেন ইরাকের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট বা সামরিক গোয়েন্দা শাখার প্রধান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাদ আল-আলাক। সেখানে ইরাকি গোয়েন্দাদের অজানা কৃতিত্বের কথা প্রকাশ করেন তিনি।
গোয়েন্দা প্রধান জানান, ২০১৫ থেকেই বাগদাদির অবস্থান চিহ্নিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন ইরাকের গোয়েন্দারা। আইএস প্রধানের খোঁজ পেতে তার পরিবারের লোকজনের ওপর গোপনে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। দীর্ঘ অনুসন্ধানের ফলও পেলেন গোয়েন্দারা। চলতি বছরের মে মাসে বাগদাদ শহরের কাছেই একটি গোপন ডেরা থেকে বাগদাদির শ্যালক মহম্মদ আলি সাজেত আল-জুবেইকে পাকড়াও করে ইরাকি নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। ২০১৫ সালে আইএসে যোগ দেওয়া জুবেই অল্পদিনেই আইএস প্রধানের বিশ্বস্ত অনুচর হয়ে ওঠেছিল। সেনা এবং গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে বাগদাদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার গুরুভার ছিল জুবেইয়ের হাতে। ফলে তাকে জেরা করেই বাগদাদির অবস্থান সম্পর্কে বেশ স্পষ্ট ধারণা পান ইরাকি গোয়েন্দারা।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাদ আল-আলাক জানান, জেরায় সিরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন ইদলিব শহরেই বাগদাদি থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল জুবেই। তবে সেই কথা প্রথমে মানতে চাননি গোয়েন্দারা। কারণ, ইদলিবের রাশ রয়েছে আল কায়দার মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী, ‘হায়াত তাহরির এ শাম’র অধীনে। মতাদর্শগত পার্থক্যের জন্য আইএসের সঙ্গে আল কায়দা এবং তাদের সংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর সাপে-নেউলে সম্পর্ক। সেই কট্টর শত্রুর ডেরায় বাগদাদি লুকিয়ে থাকবেন, এমনটা ভাবতে বেশ অসুবিধাই হয়েছিল ইরাকি গোয়েন্দাদের। কিন্তু তার পর বাগদাদির নেটওয়ার্কের হদিশ পায় ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনী।
সাদ আল-আলাক আরো জানান, তাদের সূত্র ধরে জানা যায়, জুবেই সত্যি কথাই বলেছিলেন। তুরস্ক থেকে মাত্র তিন মাইল দূরের একটি গ্রামে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন আইএস প্রধান। সেই খবর পৌঁছে দেওয়া হয় আমেরিকার কাছে। তারপরই গত ২৬ অক্টোবরে ইদলিবের কাছে বরিশা গ্রামে মার্কিন হানায় বাগদাদির মৃত্যু হয়