চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের যা করা উচিত
কলকাতা টাইমস :
গ্রহণ নিয়ে আমাদের দেশে নানা সংস্কার-কুসংস্কার প্রচলিত আছে। বিশেষকরে গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে। এই করো না,ওই করো না। কিন্তু আজ আমরা জনাব আসলে কি করা উচিত চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা যা করবেন :-
আমাদের দেশে প্রচলিত আছে যে, চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীকে শুয়ে থাকা যাবে না, মাছ কাটা যাবে না, খাওয়া যাবে না; আরো নানা বাধা-নিষেধ। অনেকেই মনে করে, চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণের সময় কাটাকুটি করলে, কিংবা পানাহার করলে সন্তানের অমঙ্গল হয়। এছাড়া চন্দ্রগ্রহণের সময় ওই নারীকে একেবারে আড়ালে রাখা হয়।
তবে এ ধরনের ধারণা কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ, কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর কাছাকাছি চাঁদ চলে আসায় সুপার মুন হবে, যার উজ্জ্বলতা বেশ খানিকটা বেশি হবে।
স্বাভাবিক অবস্থা থেকে আজ চাঁদ প্রায় সাত ভাগ পর্যন্ত বেশি বড় আর ১৫ ভাগ পর্যন্ত বেশি উজ্জ্বল দেখা যাবে। আর সেই সঙ্গে সূর্য, পৃথিবী আর চাঁদ একই সরল রেখায় চলে আসায় হবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
চন্দ্রগ্রহণের ফলে গর্ভের সন্তানের ওপর প্রভাব পড়ার মতো কোনো কারণই নেই। সন্তান বিকলাঙ্গ হওয়ার সঙ্গে চন্দ্রগ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই কুসংস্কার।
জোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে খানিকটা চাঁদে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্যসব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়। এ কারণে আজকের চাঁদ অনেকটা রক্তিম দেখা যাবে, যে কারণে এটিকে ডাকা হচ্ছে ব্লাড ব্লু মুন বলে।
অনুসন্ধিৎসু চক্রের জোতির্বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শাহজাহান মৃধা বলছেন, আদি কাল থেকে পূর্ণিমা ও চন্দ্রগ্রহণের প্রতি মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। একটা সময়ে এসব বিষয়ে মানুষের মধ্যে নানা ভীতি ও সংস্কার কাজ করতো।
এখনো অনেকের মধ্যে এসব সংস্কার আছে। তবে আস্তে আস্তে মানুষের মধ্যে সংস্কার বা ভীতি দূর হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের এখন আর এসব নেই বললেই চলে।
তিনি আরো বলেন, চন্দ্রগ্রহণের সঙ্গে সংস্কার, খাওয়া না খাওয়া বা অন্য কোনো কিছুর কোনো সম্পর্ক নেই। এটা নিতান্তই একটি নিয়মিত ব্যাপার। পুরো ব্যাপারটা সবার উপভোগের, দেখার একটি বিষয়।