অবাক করবে শাহজাহান-মমতাজের এই রহস্যগুলো
তাজমহলকে ‘ভালোবাসার’ প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। মুঘল সম্রাট শাহাজাহন তাঁর প্রিয় স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার নির্দশন হিসেবে তাজমহল তৈরি করেছিলেন।
এই তাজমহল, সম্রাট শাহজাহানকে নিয়ে রয়েছে নানান তথ্য। তাজমহল তৈরির কাজ শুরু করা হয় ১৬৩২ সালে এবং তা শেষ হয় ১৬৫৩ সালে। প্রায় ২২ বছর সময় লেগেছিল তাজমহল তৈরি করতে।
আর এই তাজমহল তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় এক মিলিয়ন ডলার! শুধু তাজমহল নয় সম্রাট শাহাজানের রয়েছে নানান অজানা তথ্য যা নিয়ে আমাদের আজকের এই ফিচার। শাহজাহান-মমতাজ সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানলে অবাক হবেন:-
১। শাহাজাহনের সম্পূর্ণ নাম কী ছিল জানেন? তার নাম “শাহেনশাহে আল-সুলতান-আল আযাম ওয়াল খোয়ান আল মুখাররাম, মালিক-উল-সালতানাত, আলা হাজারাত আবুল মুজাফার শাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ শাহ জাহান ১, শাহিব-ই-কুরান-ই-শানি, পাদশাহ গাজি জিলুলাহ, ফেরদৌস-আশিয়ানি, শাহেনসাহ-ই-সালতানাত উল হিন্দিয়া ওয়াল মোঘহালিয়া।” সিংহাসনে বসার পর নানান উপাধি যুক্ত হয়েছে নামের সাথে।
২। শাহ জাহান তার জীবনে মোট ৭ বার বিয়ে করেছিলেন। আর মমতাজ ছিলেন তার চতুর্থ স্ত্রী।
৩। মুঘল সম্রাটকে বিয়ে করার আগে মমতাজের অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। মমতাজ মহলের রূপে মোহিত শাহজাহান মমতাজের প্রথম স্বামীকে খুব নির্মমভাবে হত্যা করেন। তারপর মমতাজকে তিনি বিয়ে করেন।
৪। মমতাজের মৃত্যু হয় ১৪ তম সন্তান জন্ম নেওয়ার সময়।
৫। শুনলে অবাক হবেন, যে স্ত্রীকে শাহজাহান এত ভালোবাসতেন, তাঁর মৃত্যুর পর পরই তার ছোট বোনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই মুঘল সম্রাট। আর এই ঘটনা প্রশ্নবিদ্ধ করছে তার ভালোবাসাকে।
৬। ১৬৫৭ সালে অনেক অসুস্থ হয়ে পরেন শাহ জাহান। আর সেসময় সিংহাসনে কে বসবে তা নিয়ে শুরু হয় ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ। যা ইতিহাসে সামুগড়ের যুদ্ধ নামে খ্যাত। সেই যুদ্ধে একদিকে ছিলেন শাহ জাহানের বড় ছেলে দারা শেক আর অপরদিকে ছিলেন শাহ জাহানের দুই ভাই আওরঙ্গজেব এবং মুর্দ বাক্স। সেই যুদ্ধ চলছিল প্রায় এক বছর।
৭। ছেলে আওরঙ্গজেবের হাতে বন্দী হন সম্রাট শাহজাহান।
৮। শাহজাহান মৃত্যুর পর তার কোনো রাষ্ট্রীয় কবর ছিল না ১৬২৮ থেকে ১৬৫৮ পর্যন্ত।
৯। সম্রাট শাহজাহানের জন্য সমাধিক্ষেত্র বানাতে যে খরচ হতো তা খরচ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তার ছেলে আওরঙ্গজেব। তাই তো শাহ জাহানকে কবর দেওয়া হয়েছিল তার প্রিয় বেগম মমতাজ মহলের ঠিক পাশেই, তাজ মহলের এক গোপন কুঠুরিতে।
১০। তাজমহল তৈরিতে মানুষের পাশাপাশি হাতিও কাজ করেছিল। প্রায় ১০০০ হাতি তাজমহলের দেয়ালে কারুকাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।