উলটপুরাণ : বরফে ঢাকলো রাজস্থানের মরু
কলকাতা টাইমস :
উফ এতো বরফ বোধয় কাশ্মীরেও সব সময় পাওয়া যায় না। ছবি দেখলে যে কারো মনে হতে পারে যে, শীতপ্রধান কোনো দেশের দৃশ্য। পড়ে থাকা জমির উপর পাতা ঝরে যাওয়া গাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে ইতস্ততভাবে। আর পুরো এলাকা ঢেকে গেছে সাদা বরফে।
ভাবছেন এটা ফিনল্যান্ড বা কাশ্মীর। আজ্ঞে না ইটা মরুভূমি এলাকা রাজস্থান । যেখানে বৃষ্টি হয় কালেভদ্রে সেই রাজস্থানে বৃহস্পতিবার বজ্রপাতের সঙ্গে ঝড় বৃষ্টি আর কোথাও কোথাও নামে শিলাবৃষ্টি। সেই দৃশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
রাজস্থানের নাগৌর জেলার একটি গ্রামে বিকেল-সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ করেই ব্যাপক শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, শিলাবৃষ্টি চলে প্রায় ২০ মিনিট ধরে। শিলাবৃষ্টি থামার পর গ্রামের মানুষ বাইরে বেরিয়ে দেখেন, পুরো এলাকা ঢেকে গেছে পুরু বরফের চাদরে।
তবে শীতের দেশে যেমন মিহি বরফের আস্তরণ পড়ে এটা তেমন নয়, বরফের ছোট-বড় টুকরা ঢেকে রেখেছে রাস্তা, ক্ষেত-খামার। মোবাইলে সেই দৃশ্য ধারণও করেন অনেকে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
রাজস্থানের হনুমানগড় ও শ্রীগঙ্গানগর এলাকায়ও শিলাবৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের বাকি অংশে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। শিলাবৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হঠাৎ শিলাবৃষ্টির মধ্যে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছে বেশ কিছু গবাদি পশুও।
গত ২৪ ঘণ্টায় শ্রীগঙ্গানগরে ১৬ মিলিমিটার, জয়পুরে ১০ মিলিমিটার, বিকানেরে ৮ মিলিমিটার ও অজমেঢ়ে ছয় মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। আজ শুক্রবার চুরু শহর, শ্রীগঙ্গানগরের বিস্তীর্ণ এলাকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যায়। তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা নামবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।