ভূত খুঁজতে গিয়ে প্রেতাত্মার আক্রমণে!
কলকাতা টাইমস :
পেশায় ফিটনেস ট্রেনার বা ব্যায়াম প্রশিক্ষক হলেও ভূতের প্রতি তার বেজায় আগ্রহ। মাঝে মাঝে বিভিন্ন ভৌতিক স্থানে হানাও দিয়েছেন তিনি। তবে নানা হানাবাড়িতে হানা দিলেও একটি অভিজ্ঞতাই বোধহয় ছিল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। অন্তত ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর’কে এমনটাই জানিয়েছে সাউথহ্যাম্পটনের বাসিন্দা টনি ফার্গুসন।
আমেরিকার হ্যাম্পশায়ারের এলিং শহরে অবস্থিত সেন্ট মেরি’জ চার্চের কবরস্থানে বেশ কিছুদিন আগে ভূতের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন তিনি। এরআগে, লোকমুখে জানতে পেরেছিলেন ৮শ’ বছর পুরনো সেই কবরস্থানে নাকি ভূতের অভাব নেই। রাতে সেখানে গেলে ভূতের দেখা মিলবেই।
সংবাদমাধ্যমকে ৩৩ বছরের টনি জানান, এর আগে বিভিন্ন স্থানে গিয়েও ঠিকভাবে ভূতের দেখা পাননি। তাই কবরস্থানের বদনাম জানতেই এক রাতে সেখানে তিনি ছুটে যান। সঙ্গে ছিল ভূতের স্মৃতি স্মরণীয় রাখতে একখানা ক্যামেরা।
কবরস্থানে ঢুকে ক্যামেরা চালু করে টনি ভূত খুঁজতে শুরু করেন। স্থানটিতে কিছুক্ষণ কাটাতেই টনি অবশ্য বুঝতে পারেন, ভূতকে তিনি আর খুঁজবেন কি, ভূতেরাই তাকে খুঁজে বের করেছে। দীর্ঘদিন রাতের বেলা কোনো জ্যান্ত মানুষকে যে দেখেনি সেখানকার বাসিন্দারা!
কিছুক্ষণ যেতে না যেতেই কবরের সারির উপর দিয়ে অশরীরীরা তার উপর আক্রমণ করে বসে। অবশ্য অশরীরীদের চর-থাপ্পর তাকে খেতে হয়নি। শুধু বাতাসের উপর দিয়েই ওই যাত্রা তার ভূতের আক্রমণের অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে।
খালি মুখে ঘটনাটির কথা বললে হয়তো তারা হেসেই উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু টনির ক্যামেরাও যে ঘটনার স্বাক্ষী। সেখানেও ধরা পড়েছে অস্বাভাবিক কিছু সত্যিই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল টনির উপর।
টনি জানিয়েছেন, লোকের কাছে কবরস্থানটি সম্পর্কে যা শুনেছিলেন তার চেয়ে বেশিই অভিজ্ঞতা তার হয়ে গেছে! তিনি শুনেছিলেন, অনেকে নাকি সেখানে প্রেতাত্মার দেখা না পেলেও অস্তিত্ব টের পেতেন। সেদিক থেকে টনি যেন এক কাঠি সরেস।
ভিডিও পরীক্ষা করে টনি জানিয়েছেন, বাতাসের ঝাপটা গায়ে লাগলেও তা শুধুই বাতাস ছিল না। সেটি সাদা ধরনের অশরীরী অবয়ব বলেই ক্যামেরায় দেখা গেছে। এছাড়া সেই স্থানটিতে যে নেগেটিভ শক্তিও বজায় ছিল তাও বেশ ভালোভাবেই তিনি টের পেয়েছিলেন।