শীতে নেবেন নাকি সোনার তৈরি চাদরের গরম !
ভারতের বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী সোনার তৈরি শার্ট পড়েন। প্যারিসে রয়েছে সোনার তৈরি কমোড। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় কোম্পানি অ্যাপেল আইফোন, আইপ্যাডে তৈরিতে ব্যবহার করছে সোনা। এবার সোনা দিয়ে চাদর তৈরি করেছে ইতালির একটি হোটেল।
ইতালির হোটেল টাউনহাউজ গ্যালারিয়া মিলানানোর দাবি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল চাদর তৈরি করেছে তাদের প্রতিষ্ঠানটি। চাদরটির দাম শুনলে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে। মনে হতে পারে দুঃস্বপ্ন দেখছেন। দামটা একটু পরেই বুলছি, তবে ধারণা দিয়ে রাখি চাদরটির দাম ছয় অঙ্কের! কেন ছয় অঙ্কের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে? উত্তর, চাদরটি সোনায় বোনা!
টাউনহাউস গ্যালারিয়া মিলানানো তাদের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটের অতিথিদের ২৪ ক্যারেট সোনার সাথে বোনা চাদরে ঘুমানোর সুযোগ দিচ্ছে। লিলেন কাপড়ে সোনার সাথে বোনা চাদরটিতে ঘুমাতে হলে ব্যয় করতে হবে অঢেল অর্থ। তবে সাম্প্রতিক সময়ের জন্য একটি অফার দিয়েছে হোটেলটি। ২৭২৩.৪৯ ইউরোতে এক রাত থাকা যাবে। যদি সকালের নাস্তা করেন তাহলে যোগ করতে হবে আরো ৩০ ইউরো।
প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটগুলোকে বিলাসবহুল জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। বাথরুমটিকে মোড়ানো হয়েছে মার্বেল দিয়ে। স্যুটে একটি ডাইনিং রুম ও একটি লাউঞ্জ রয়েছে। বারান্দায় দাঁড়ালে পুরো শহরটিকে হাতের মুঠোয় পাওয়া যাবে। নিরাপত্তার জন্য রুমের বাইরে ২৪ ঘণ্টা প্রহরীর ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।
টাউন হাউজ গ্যালেরিয়া মিলানোর দাবি, সোনার চাদরটি ‘জ্ঞানের উদ্দীপনা’ বাড়াতে সাহায্য করবে। এতে বহুমূল্য ধাতু ব্যবহার করা হয়েছে যা গুরুত্বপূর্ণ শক্তি সঞ্চয় করে, আত্মসম্মান বৃদ্ধি করে, সাহস ও ক্ষমতায়ন করে এবং ইতিবাচক অনুভূতি বাড়ায়।
যুক্তরাজ্যের ঘুম বিশেষজ্ঞ ড. নেইল স্ট্যানলি মেইল অনলাইনকে জানিয়েছে, সোনার চাদরে ঘুমালে ঘুমের মানের ওপর সামান্য প্রভাব পড়বে।
ব্যবহারে পর চাইলে সোনার চাদরটি কিনতেও পারবেন। এজন্য গুনতে হবে দুই লাখ ইউরো। প্রতিষ্ঠানটি প্রথমে ১০০টি চাদর তৈরি করেছে। প্রতিটি চাদরের সঙ্গে রয়েছে চারটি পিলো কভার, একটি ডাবল পিলোর কভার (কোল বালিশ)।চাদরগুলো বিক্রির সময় গ্যারান্টি সার্টিফিকেট প্রদান করবে। নষ্ট হয়ে গেলে পুরো অর্থই ফেরত পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।