February 23, 2025     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular

নুন যখন সোনার চেয়েও দামি 

[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস : 

মাস শেষে চাকরিজীবীদের হাতে তুলে দেয়া হয় নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক। এজন্য প্রত্যেকেই পেয়ে থাকেন অর্থ। কিন্তু পারিশ্রমিক হিসেবে অর্থের পরিবর্তে যদিও লবণ দেয়া হয় ব্যাপারটি কেমন হয় ভাবুন তো! কিন্তু একটা সময় ছিল যখন কর্মীদের পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া হতো লবণ।

প্রাচীন রোমান শাসনামলে লবণ এতটাই দুষ্প্রাপ্য ছিল যে তা সোনার চেয়েও মূল্যবান বস্তু হিসেবে গণ্য করা হতো। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, লবণ সমৃদ্ধ এলাকাগুলোকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ সময় সভ্যতা গড়ে তুলত মানুষ। যাতে করে তারা লবণের ব্যবসা করতে পারে।
মিসরীয় সাম্রাজ্যের সহায়তাপুষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছিল ন্যাট্রন ভ্যালি। ওই এলাকা থেকে মূল্যবান উপাদান লবণ আসত এবং সেই স্থানের নাম অনুসারে তা ন্যাট্রন লবণ হিসেবে পরিচিত ছিল।
ইউরোপের শহর বুলগেরিয়ার সলনিতসাতা, যা একসময়ে ছিল লবণ খনি। বর্তমানে বলকান নামে পরিচিত। খ্রিস্ট্রপূর্ব ৫৪০০ সাল থেকে সেই এলাকা থেকে লবণ সব জায়গায় যেত।
সেই সময়টাতে লবণ ছিল সর্বাধিক মূল্যবান বস্তু। হিব্রু, গ্রীক, চীনা, হিট্টিস এবং অন্যান্য প্রাচীন সম্প্রদায় লবণকে দুর্মূল্য জিনিস হিসেবে গ্রহণ করত। পাশাপাশি, সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে লবণকে ব্যবহার করা শুরু হতে লাগলো সৈন্যদের বেতন পরিশোধে।
রোমান প্রজাতন্ত্রের শুরুর দিকে রোম নগরীর ক্রমবর্ধমান উন্নতির সময়ে বিশেষ একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল শুধুমাত্র লবণ আনায়নের সুবিধার জন্যে, যাতে রোমান রাজ্যে লবণ সহজে পৌঁছাতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ‘সাবিন ট্রেইলের’ কথা বলা যায় যা নির্মাণ করা হয়েছিল রোম থেকে আড্রিয়াটিক সাগর পর্যন্ত।
সল্ট শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ‘স্যালারি’ থেকে কারণ রোমান সাম্রাজ্যে প্রায়ই লবণ দিয়ে পারিশ্রমিক দেয়া হতো। বলা হতো- যে সকল সৈন্য তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করত তাদেরকে ‘লবণের যোগ্য’ হিসেবে গণ্য করা হতো।
রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পরেও মধ্যযুগে লবণ মূল্যবান প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে গণ্য হতো। সাহারা মরুভূমির চারশত মাইল পাড়ি দিয়ে চল্লিশ হাজার উটের ক্যারাভানে লবণ পরিবহণ করে সাহেল নামে মূল ভূখণ্ডের বাজারে নিয়ে যাওয়া হতো এবং দাসদের বিনিময়ে লবণ গ্রহণ হতো। টিম্বুকতু নামের এলাকাটি লবণ ও দাস ব্যবসার বিশাল বাজার ছিল।

Related Posts

Leave a Reply