প্রেম-পটানোর ক্লাস, আজব ইউনিভার্সিটিতে উপচে পড়া ভিড়
প্রেম নিবেদন বা পটানোর বিষয়টি এমনিতেই ভালো চোখে দেখা হয় না। এটাকে লজ্জাজনক আচরণ বলে মনে করা হয়। অথচ এটা কেবলই অন্যের প্রতি উষ্ণতা প্রকাশের বিষয়। তাই প্রজেক্টরে একটি ভিডিও ছাড়লেন শিক্ষক।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক সুদর্শন যুবক তার ‘গার্লফ্রেন্ড’ তথা মেয়েবন্ধুকে হাতে ধরে একটা সরু ব্রিজ পার হতে সাহায্য করছে। এটা করতে গিয়ে সে পানিতে নেমে পড়েছে। হঠাৎই এক ছাত্রীর প্রতি ইঙ্গিত করে শিক্ষক জিজ্ঞেস করলেন, ‘সে (ভিডিওর যুবক) যদি তোমার বয়ফ্রেন্ড হতো, তুমি কি করতে।’ একটু মজা করেই তিনি আরও বললেন, ‘মনে হচ্ছে তোমারও একজন বয়ফ্রেন্ড আছে।এখন আমাদের বলো, ওই যুবকের ব্যাপারে তুমি কি ভাবছ।’ ছাত্রী তার মতো জবাব দিল, ‘তাহলে সম্পর্কই শেষ হয়ে যেত!’
এটা আসলে প্রেমের ক্লাস। শুনতে অবাক লাগলেও প্রেমের রীতিনীতি শেখাতে রীতিমতো ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। এসব ক্লাসে ভিড় জমাচ্ছেন চীনা তরুণ-তরুণীরা।
প্রেম বা ভালোবাসার ওপর ক্লাস চীনে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দেশটিতে এজন্য সম্প্রতি বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও রীতিমতো কারিকুলাম আর সিলেবাস করে পড়ানো হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।
এই মুহূর্তে অন্তত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেমসম্পর্কিত স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি কোর্স করাচ্ছে। প্রেমের পাঠ কেন জনপ্রিয় হচ্ছে- তার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে সম্প্রতি বেশকিছু কারণে ছেলে-মেয়েদের জন্য প্রেমের ব্যাপারটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ছেলেদের জন্য। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ, মেয়ের অভাব।
চীনা সরকারের সাম্প্রতিক এক তথ্যমতে, গত বছর দেশটিতে নারীদের চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লাখের বেশি ছিল। চাহিদার তুলনায় জোগান না থাকায় বিপদে পড়ছেন ছেলেরা।
বিয়ের জন্য একটা মেয়ে খুঁজে পেতে কিংবা মনের মতো একজন প্রেমিকা জোগাড় করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়।