মার্কিন সামরিক শক্তির সঙ্গে যুঝতে কতটা তৈরী ইরান?
কলকাতা টাইমসঃ
আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর ইরান। জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পরই যুদ্ধের বাতাবরণ মধ্যপ্রাচ্যে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর মার্কিন সামরিক শক্তির সঙ্গে যুঝতে কতটা তৈরী ইরান?
ইরানের সেনাবাহিনী:
প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার সক্রিয় সেনা নিয়ে তৈরী ইরানের সামরিক বাহিনী। যা মধ্যপ্রাচ্যে যথেষ্ট প্রভাবশালী বলেই মনে করে বাকি বিশ্ব।
দেশের বাইরে অভিযান: জেনারেল সোলাইমানির নেতৃত্বে বিদেশে অনেক গোপন অভিযান চালানোর অভিজ্ঞতা আছে তাদের। ইরাকে ইসলামিক স্টেটকে পরাজয়ের পিছনে তাদের ভূমিকা অনসীকার্য। যদিও আমেরিকা বলছে কুদস ফোর্স অর্থ, প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও উপকরণ দিয়েছে এমন সংগঠনকে যাদের তারা সন্ত্ৰাসবাদী গোষ্ঠী বলে মনে করে। এছাড়াও সামরিক অস্ত্রের লেনদেনের ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে রাশিয়া এবং চীনের সক্ষতা সর্বজনবিদিত।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র:
স্বল্প এবং মাঝারি পাল্লার ক্ষেত্রে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সেদেশের সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ ইরান। গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও ইরান বর্তমানে চালাচ্ছে বলে খবর।
অপ্রচলিত অস্ত্র: ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ২০১৬ সাল থেকেই ইরাকে ড্রোন ব্যবহার করে আসছে ইরান। গত বছর জুনে একটি মার্কিন ড্রোনকে ভূপাতিতও করে তারা।
বরং তারা ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের দায় স্বীকারের দিকে ইঙ্গিত করেছে।