দেহ-মনে বন্ধুদের প্রভাব নাকি কুপ্রভাব
ঘুমের অভ্যাস বদলে যাওয়া
এ সমস্যা কেবল তরুণদের জন্যই নয়, অনেকের জীবনে ঘটে চলেছে। ফেসবুকে বা ফোনে রাতভর মেসেজ আদান-প্রদানে ঘুমের কিন্তু বারোটা বেজে চলেছে। শরীর যে সময়টাতে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত, তা বদলে যাচ্ছে। ঘুমের অভাবে ভর করতে থাকে ‘স্ট্রেস’।স্বাভাবিকভাবেই এতে জীবনের অনেক কাজই ব্যাহত হয়।
পরচর্চার মধ্যে থাকা
কিছু বন্ধু আছে যাদের কাজ কেবল পরচর্চা করা। অফিস থেকে শুরু করে এলাকার বন্ধুদের আড্ডাতেও এদের দেখা মেলে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, পরচর্চা মানুষের মনে নেতিবাচক চিন্তা ঢুকিয়ে দেয়। মনটা বিক্ষব্ধ হয়ে ওঠে। নিজের অজান্তেই ব্যক্তি অযাচিত ফালতু ঘটনায় মনোযোগী হয়ে ওঠে। এতে যেমন সময়ের অপচয় ঘটে, তেমনি মনের সতেজতাও নষ্ট হয়।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
বন্ধুরা এক হলেই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষটিও সব ভুলে যান। যে মানুষটি সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান, তিনিই বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে আজেবাজে খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ধরনের বন্ধুদের সঙ্গে খাবারের আশপাশেও যেতে নেই।
সমস্যা আনে, সমাধান নয়
এ ধরনের বন্ধু খুবই ক্ষতিকর। এরা সব সময় কোনো না কোনো সমস্যা নিয়ে আসে। কিংবা শুধু সমস্যাগুলোই ধরিয়ে দেয়। কখনো সমাধান দিতে পারে না। মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ করে দিতে এরা সিদ্ধহস্ত। এদের সঙ্গ ক্রমেই ট্রেস সৃষ্টিকারী কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।