অর্ধেক মাথার ফ্যাশন মডেল!
[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :
একজন মডেলকে তার চেহারা ও দৈহিক সৌন্দর্যের দিকে কড়া দৃষ্টি রাখতে হয়। কিন্তু কী হতে পারে, যখন একজন মডেলের চেহারা বা মাথায় প্রাণঘাতী আঘাত আসে? এই দুঃস্বপ্নই ঘটে গেছে ২৮ বছর বয়সী ফ্যাশন মডেলে ফ্রান্সেসকা বারের ভাগ্যে। সিঁড়ি থেকে পড়ে তার করোটি, চোয়াল আর নাক ভেঙে যায়। বাড়িতে সিঁড়ির নিচে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মা। বাবা-মা দুজনই ছুটে আসেন। সিঁড়ির নিচের একটি দরজায় আটকে আছেন তিনি। রক্তের বন্যা বইছে যেন। পোষা কুকুরটা পাগলের মতো ঘেউ ঘেউ করে যাচ্ছে। কোনো হরর সিনেমার মতো ঘটনাগুলো ঘটে যায় । হাসপাতালে টানা এক মাস কোমার মধ্যে থাকেন মডেল। খুলির ৫টা ভাঙা টুকরা পান চিকিৎসকরা। ফ্রান্সেসকার মাথায় এগুলো ফুটো তৈরি করে। চিকিৎসকরা তার বাবা-মাকে চরম দুঃসংবাদের প্রস্তুতি নিতে বলেন।
৭ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চলে ফ্রান্সেসকার মাথায়। সেখানে লাগানো হয় ৩-ডি প্রিন্টেড টাইটানিয়াম প্লেট। এগুলো খুলির সঙ্গে সেঁটে দেওয়া হয় নাট-বল্টুর মাধ্যমে। কোমা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। দৈহিক ছাড়াও মানসিক আঘাতে জর্জরিত তিনি। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
৭ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার চলে ফ্রান্সেসকার মাথায়। সেখানে লাগানো হয় ৩-ডি প্রিন্টেড টাইটানিয়াম প্লেট। এগুলো খুলির সঙ্গে সেঁটে দেওয়া হয় নাট-বল্টুর মাধ্যমে। কোমা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। দৈহিক ছাড়াও মানসিক আঘাতে জর্জরিত তিনি। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
কিন্তু স্মৃতিতে নেই যে তার একজন প্রেমিক ছিল, তার নামের মাঝের অংশটা কী, তার বাবা-মায়ের নামটাই বা কী। ধীরে ধীরে কথা বলতে শুরু করেন তিনি। বলেন, ঘুম থেকে জেগে উঠে জীবনের বেশির ভাগটাই ভুলে গেলাম। এখন পর্যন্ত তিনি স্মৃতি ফিরে পেতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তাই বলে শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাননি তিনি। ফ্রান্সেসকাকে তার ভাই ফ্রানকেস্টাইন বলে ডাকেন। কারণ উপন্যাসের সেই ভয়ংকর ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মতোই তার মাথায় কিছু অংশ নেই।
এই মানুষটি এখন একাধারে মডেল, শিল্পী এবং স্কুলশিক্ষিকা। হাসপাতালে একজনের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়ার ঘটনাও ঘটে গেছে। মাঝে মাঝে সেখানে চেক-আপের জন্য যান।