৫০ পার হলেই এই শত্রুদের থেকে সাবধান
কলকাতা টাইমস :
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সঙ্গে বেশ কিছু রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অল্প বয়সেও এ রোগগুলো আক্রমণ করতে পারে। কিন্তু বয়স ৫০ পার হলেই এ রোগগুলো আক্রমণের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এ কারণে ৫০ বছর পার হলেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
ক্যান্সার : যেকোনো বয়সেই ক্যান্সার হতে পারে। তবে গবেষকরা বলছেন, মধ্যবয়সে ক্যান্সারের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। বিশেষত বয়স যদি ৫০ কিংবা ৬০ হয়, তাহলে আক্রান্ত হওয়ার আঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিসের মতো কিছু সমস্যার কারণেও ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
আলঝেইমারস : মস্তিষ্কের রোগ আলঝেইমারসে প্রতিবছর বহু মানুষ আক্রান্ত হয়। ৬৫ বছর পার হওয়ার পর আলঝেইমারসের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে বয়স ৫০ হওয়ার পর থেকেই এ রোগের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। বয়স ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, কোলস্টেরল ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে এ রোগের আশঙ্কা বাড়ে।
হৃদরোগ : বয়স্কদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ। বয়স যতই বাড়বে, এ রোগের ঝুঁকি ততই বাড়বে। তাই ৫০ বছরের পর থেকে এ রোগটি সম্পর্কে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সুস্থ জীবনযাপন, খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর অন্যান্য বিষয় চর্চা করতে হবে।
ডায়াবেটিস : টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেহের ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বাধা দেয়। বয়স ৪৫ বছর বা তার চেয়ে বেশি হলে ডায়াবেটিসের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা : এ বয়সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে বেড়ে যায়। এ ধরনের সংক্রমণে ফুসফুসে তরল পদার্থ জমে যায়। ফলে ফুসফুসে মারাত্মক সব সমস্যার সৃষ্টি হয়। শ্বাসতন্ত্রের অন্য একটি সমস্যার নাম ‘ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ’ বা সিওপিডি। এটি ধীরে ধীরে ফুসফুসের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। এ রোগে আক্রান্তরা শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তিবোধ এবং শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ভোগেন।
আর্থ্রাইটিস ও হাড়ের সমস্যা : বয়স বাড়লে হাড়ের নানা রোগের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। বিশেষ করে অস্থিসন্ধির ব্যথায় অনেকেই কাবু হয়ে পড়েন। অস্থিসন্ধির টিস্যুগুলো ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দেয়। দেহের ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় কিংবা শরীরে সঠিক ভিটামিন ও মিনারেল গ্রহণ করা না হয় তাহলে এসব সমস্যা বেশি হয়।
খাবার, পানীয় ও ধূমপানের ঝুঁকি : বেশ কিছু খাবারের কারণে মধ্যবয়সে বাড়তি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে মদ্যপান, ধূমপান ও ক্ষতিকর খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ঝুঁকি কমাতে চাইলে এগুলো পুরোপুরি বর্জন করা উচিত।
বিষণ্নতা: বিষণ্নতার মতো মানসিক রোগে বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রায়ই আক্রান্ত হয়। যদিও তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি প্রায়ই জানা যায় না। এ ক্ষেত্রে তাদের মানসিক স্থিরতা, ঘুমের পরিমাণ ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে।