ভুলেও দুধ বিক্রি যেখানে মহাপাপ!
কলকাতা টাইমস :
দুধ দীর্ঘদিন ধরে সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত এবং খুবই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে শৈশব এবং কৈশোরে শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দুধ পানের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া দুধকে পবিত্র মনে করা হয় এবং বিভিন্ন উৎসব পালনেও এর ব্যবহার রয়েছে।
কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন, আমাদের ভারতই এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে দুধ বিক্রি করা মহাপাপ হিসেবে গণ্য করা হয়! আগ্রার তাজমহল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে কুয়া খেদা গ্রামে এই অদ্ভুত নিয়ম এখনও অনুসরণ করা হয়।
গ্রামটির বেশিরভাগ অধিবাসী গবাদি পশুপালনে জড়িত। কিন্তু বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, কুয়া খেদা গ্রামের বাসিন্দাদের দুধ বিক্রি করার অনুমতি নেই। গ্রামটির বাসিন্দারা দুধ বিক্রি বা ক্রয় করেন না। তাদের মতে, বহু বছর ধরে চলে আসা এই নিয়ম ভাঙলে পাপ হবে। প্রচলিত রয়েছে যে, গ্রামের কোনো বাসিন্দা যদি দুধ বিক্রি করার চেষ্টা করেন তাহলে তার পরিবারের সদস্যরা অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার মুখোমুখি হবেন এবং মারাত্মক বিপদেও পড়তে পারেন।
তারা কারো প্রয়োজনে কেবল দুধ দান করতে পারেন। কারণ অর্থ আয়ের উদ্দেশ্যে দুধ বিক্রি করা এখানে অশুভ হিসেবে বিবেচিত। গ্রামটিতে যখন কোনো অনুষ্ঠান হয় যেমন জন্মদিন, বিয়ে বা উৎসবের সময় কোনো পরিবারের যদি দুধের প্রয়োজন হয় তাহলে গ্রামবাসী দুধ সংগ্রহ করে দান করেন।
স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, গ্রামটির কাছে এক সময় যে সাধু থাকতেন তিনি গরুভক্ত ছিলেন। প্রায় ৪০০ বছর আগে তিনি গ্রামবাসীদের দুধ বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সাধুর পরামর্শ আজও মেনে চলছে তারা। যদিও গ্রামের কোনো অসাধু ব্যক্তি সাধুর সেই পরামর্শ অগ্রাহ্য করে দুধ বিক্রি করতে গিয়ে কী ধরনের বিপদে পড়েছেন তা আজও জানা যায়নি।