November 22, 2024     Select Language
Uncategorized

যত পুরোন হাঁপানি হোক না কেন সেরে যাবে, যদি খান …

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস :

হাঁপানির জ্বালায় আপনার নাজেহাল অবস্থা তো? টেনশন করবেন না। এবার লবঙ্গ খান আর আপনার হাঁপানিকে বিদাই করুন! দেখবেন গোটা দিনটা কেমন আনন্দে কাটছে!

জানি, রোজ রাতে খাবার পর লবঙ্গ খেতে আপনার বেশ ভালোই লাগে। আর মশলাদার রান্নায় লবঙ্গ গোটা গরম মশলার সঙ্গে ফোড়ন দিলে তো কেয়া বাত! কিন্তু, আপনি যে দীর্ঘদিন হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন, তাতে কি লবঙ্গ ব্যবহার করার কথা ভেবেছেন? জানি, ভাবেন নি। তাই আজ আপনাদের লবঙ্গ দিয়ে কীভাবে হাঁপানি দূর করা যায়, সেটাই বলবো।

১. মধুর সঙ্গে লবঙ্গ : এটা কিন্তু আপনার হাঁপানির রোগে বেশ কার্যকরী। লবঙ্গে ২০%-২৫% ক্লোভ তেল আর ১০%-১৫% টাইটার পেনিক অ্যাসিড থাকে। তাই এটা খুব ঝাঁজালো হয় আর তাই হাঁপানির জন্য এটা এত উপকারী।

উপকরণ : ৫/৬ টা লবঙ্গ, ১ টেবিল চামচ মধু।

পদ্ধতি : এক গ্লাস জলে লবঙ্গ দিয়ে ভালো ভাবে ফুটিয়ে নিন। এবার ওই জলে মধু দিন আর খান। এই জলে দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলেই খুব তাড়াতাড়ি হাঁপানির সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পাবেন।

২. লবঙ্গের গুঁড়ো : হাঁপানির সমস্যা সঙ্গে সঙ্গে দূর করতে পারে এই গুঁড়ো।

উপকরণ : ১০/১২ টা লবঙ্গ।

পদ্ধতি : লবঙ্গ নিয়ে সেটা ভালো করে গুঁড়ো করতে হবে। এবার এই গুঁড়োটা একটা সুতির কাপড়ের মধ্যে নিয়ে নাকের কাছে এনে ঘ্রাণ নিন। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন।

লবঙ্গ আর গোলমরিচের বড়ি: এই বড়ি আপনার হাঁপানির সমস্যাকে কয়েকদিনের মধ্যেই কমিয়ে আনবে।

লবঙ্গ আর গোলমরিচের বড়ি

উপকরণ: লবঙ্গ গুঁড়ো, ব্ল্যাক সল্ট, গোলমরিচ গুঁড়ো।

পদ্ধতি : গুঁড়ো লবঙ্গ, ব্ল্যাক সল্ট আর গোলমরিচ একসঙ্গে জলে দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে লেই মতো করুন। এবার ছোট ছোট মটরশুঁটির সাইজের বড়ি বানান আর রোদে শুকোতে দিন। এয়ার-টাইট কনটেনারে রাখুন। যখনই খুব সমস্যা হবে দুটো খেয়ে নেবেন। এছাড়া রোজই একটা করে খেতে পারেন বা মুখে রেখে চুষতে পারেন। ভালো লাগবে অনেকটা।

লবঙ্গের চা : সকালে উঠে চা তো খান। এবার যেভাবে বলছি সেভাবে সক্কাল সক্কাল উঠে খেয়ে দেখুন দেখি।

উপকরণ : লবঙ্গ কয়েকটা, তুলসী পাতা, গোটা গোলমরিচ, সামান্য মধু।

পদ্ধতি : লবঙ্গ, তুলসী পাতা আর গোলমরিচ জলে দিয়ে ফোটান দশ মিনিট ধরে। তারপর ছেঁকে নিন। এবার সামান্য মধু যোগ করে হাল্কা গরম থাকতে থাকতে খেয়ে নিন। আচ্ছা, সকালে এটা ভালো না লাগলে বিকেলে খান। কয়েকদিনেই ফল পাবেন।

তাহলে আজ থেকেই নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া শুরু করুন আর দেখুন ‘লং’ কিভাবে আপনার লং-টার্ম সুস্থ থাকার চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে।

Related Posts

Leave a Reply