November 22, 2024     Select Language
৭কাহন Editor Choice Bengali KT Popular Uncategorized সফর

২০০ বছর ধরে হিন্দুরাই নামাজ পড়ছেন এই মসজিদে 

[kodex_post_like_buttons]

কলকাতা টাইমস : 

দিনের পর দিন ভারতে ধর্মের নামে বিভেদ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি দিল্লি তার সব থেকে বড় উদাহরণ। কিন্তু ভারত তো এরকম ছিল না। সহনশীলতা, ধর্মে ধর্মে সমন্বয়ই ছিল ভারতের পরিচয়। সেই সম্প্রীতির পরিচয় এখনো ধরে রেখেছে বিহারের নালন্দা জেলার গ্রাম মাধি।

জানা গেছে, ওই গ্রামে এখন একজনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে না। তার পরেও গ্রামের ২০০ বছর প্রাচীন মসজিদটিতে নামাজ পড়া বন্ধ হয়নি। মসজিদের দেখভাল থেকে নামাজ পড়া, সবই করেন হিন্দুরাই।

বিহারের নালন্দার মাধি গ্রামের হিন্দু অধিবাসীরা সেখানকার মসজিদ দেখভালের পাশাপাশি পেনড্রাইভের সহায়তায় আযানও দেয়। মসজিদটি অনেক পুরনো। বর্তমানে সেখানে কোনো মুসলিম বাসিন্দা নেই। সে কারণে হিন্দুরাই ওই মসজিদের দেখভাল করে।

গালফ নিউজের একটি প্রতিবেদনে আজ রবিবার জানানো হয়েছে, বিহারের ২০০ বছর পুরনো ওই মসজিদে আযানের পাশাপাশি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন হিন্দুরা।

গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, ঠিক কবে ওই মসজিদের প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেটা তাদের জানা নেই। একসময় ওই গ্রামে অনেক মুসলিম পরিবার বাস করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন। সে কারণে, আজ ওই গ্রামে একজনও মুসলমান নেই।

গ্রামের বাসিন্দারা আরো জানান, কোনো মুসলমান না থাকার কারণে প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছিল মসজিদটি। পরে হিন্দুরা এগিয়ে আসেন দেখভালের জন্য। তারাই মসজিদটি সংস্কার করেন। কিন্তু তারা আযান দিতে জানেন না। এর সমাধানে একটি পেনড্রাইভে আযানের ধ্বনির রেকর্ড রাখা হয়েছে। সেটিই দিনে পাঁচ ওয়াক্ত বাজানো হয়। আর সেই আযানের সঙ্গেই গলা মেলান গ্রামের হিন্দু বাসিন্দারা।

গ্রামের হিন্দু পুরোহিত আরো জানান, সকাল সন্ধ্যা মসজিদ চত্বর পরিষ্কার করে তারাই নামাজ পড়েন মসজিদে। শুধু তাই নয়, গ্রামের কোনো সঙ্কটের সময়ও গ্রামবাসীরা ওই মসজিদে গিয়ে আল্লাহর কাছে সুরাহা চান।

বর্তমানে, ভারতের প্রায় সর্বত্রই জাত, ধর্ম, ভাষার ভিত্তিতে ভেদাভেদ বাড়ছে। খাদ্যের ধর্মবিচারও চলছে। খাবার ডেলিভারি করছেন কোন ধর্মের মানুষ, তা নিয়েও বিতর্ক চলছে। এই অবস্থায় বিহারের ওই গ্রাম কিন্তু ভারতের চিরন্তন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।

Related Posts

Leave a Reply