নয়টি গিঁট বেঁধে পায়ে কালো সুতো পরলেই ….
[kodex_post_like_buttons]
কলকাতা টাইমস :
বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন বিশ্বাস রয়েছে, বিশেষত কোনও মন্দ এবং নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে। আপনি নিশ্চয়ই অনেককেই দেখেছেন যে, গোড়ালি, গলা, কোমর বা কব্জিতে কালো সুতো পরতে। কিছুজন এটি পরেন নিজেকে স্টাইলিশ দেখাতে আবার, কিছুজন এটিকে একটি পবিত্র সুতো হিসেবে বিবেচনা করেন যা, চারপাশের সমস্ত নেতিবাচক শক্তি থেকে তাদের রক্ষা করবে। এছাড়া, কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে এটি সৌভাগ্য বয়ে আনবে। কালো সুতোর পরিধানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অনেক বিশ্বাস। তাই, এ সম্পর্কে আরও জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন।
কালো সুতো পরার কারণ ভারতে, কালো রঙকে অশুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত, কোনও পবিত্র বা শুভ কাজের ক্ষেত্রে কালো রঙ বাদ দেওয়া হয় এবং সাদা, হলুদ, কমলা, লাল বা অন্যান্য রঙ ব্যবহৃত হয়। ভারতে কোনও পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় বা কোনও ধর্মীয় কাজের ক্ষেত্রে কালো রঙের পোশাক পরা এমন ব্যক্তি খুব কমই দেখতে পাবেন। কিন্তু, তারপরেও কেন আমাদের মধ্যেই অনেকের দেহে কালো সুতোর পরতে দেখা যায়?
কালো সুতো পরার কারণ ভারতে, কালো রঙকে অশুভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত, কোনও পবিত্র বা শুভ কাজের ক্ষেত্রে কালো রঙ বাদ দেওয়া হয় এবং সাদা, হলুদ, কমলা, লাল বা অন্যান্য রঙ ব্যবহৃত হয়। ভারতে কোনও পবিত্র অনুষ্ঠানের সময় বা কোনও ধর্মীয় কাজের ক্ষেত্রে কালো রঙের পোশাক পরা এমন ব্যক্তি খুব কমই দেখতে পাবেন। কিন্তু, তারপরেও কেন আমাদের মধ্যেই অনেকের দেহে কালো সুতোর পরতে দেখা যায়?
হিন্দু ধর্মে, কালো রঙ ন্যায়বিচারের দেবতা শনি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা যায়। বলা হয় যে, তিনিই সেই দেবতা যিনি কোনও ব্যক্তির কর্মের ভিত্তিতে তাকে পুরস্কৃত করেন বা শাস্তি দেন। তিনি সমস্ত নেতিবাচক দিকগুলি বন্ধ করে দেন এবং আশা, আগ্রহ এবং ইতিবাচক শক্তি দিয়ে আশীর্বাদ করেন। সুতরাং, যখন কেউ গোড়ালিতে কালো সুতো বাঁধে, তখন সেই ব্যক্তিটি নেতিবাচক এবং অশুভ শক্তি থেকে দূরে থাকে। গলা, কোমর বা হাতেও কালো সুতো পরা হয়। মানুষ সাধারণত এটি পরিধান করে, কালো জাদু বা মন্দ উদ্দেশ্য আছে এমন ব্যক্তিদের থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। অনেক বাচ্চাদের শরীরেও তাদের মায়েরা কুনজর এড়াতে এই সুতো বেঁধে দেন।
তবে, কালো সুতো তখনই ইতিবাচক ফলাফল দেবে যখন নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মাথায় রেখে এটি পরা হবে। যদি আপনি সেই বিষয়গুলি না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন, সেগুলি এখানে দেওয়া হল – কালো সুতো পরার সময় যে বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত
১) কালো সুতোতে অবশ্যই নয়টি গিঁট বেঁধে তারপর তা গোড়ালিতে পরতে হবে।
২) কালো সুতো পরা আগে অবশ্যই তা শনিদেব ও হনুমানের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা উচিত। এটি করার পরে, সুতোটি শক্তিশালী হয়ে ওঠে পবিত্র মন্ত্রের দ্বারা।
৩) এটি অবশ্যই শুভ সময়ে পরিধান করা উচিত। নাহলে সুতোটি কার্যকর নাও হতে পারে। এর জন্য আপনি কোনও পুরোহিত বা জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।
৪) আপনি যখন আপনার গোড়ালি, কোমর, গলা বা হাতে কালো সুতো বাঁধবেন তখন এটি ২, ৪, ৬ বা ৮টি বৃত্তে বাঁধবেন।
৫) ভগবান হনুমানকে অর্পণ করার পরে গলায় কালো সুতো বাঁধলে, সেই ব্যক্তি স্বাস্থ্য এবং ইতিবাচক শক্তির আশীর্বাদ পায়।
৬) আপনি যদি শনি দেবতার আশীর্বাদ পেতে চান এবং আপনার শত্রুদের থেকে অক্ষত থাকতে চান তবে, আপনাকে অবশ্যই পুরোহিতের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে শনিবার এই সুতোটি পরতে হবে নয়টি গিঁট বেঁধে।
৭) আপনার দেহের যেকোনও অংশে কালো সুতোর বাঁধার পরে রুদ্র গায়ত্রী মন্ত্রটি পাঠ করুন। মন্ত্রটি পাঠ করার জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট সময়ও বেছে নিতে পারেন। মন্ত্রটি হল –
ওঁ তৎপুরুষায় বিদ্মহে মহাদেবায় ধীমহি।। তন্নো রুদ্রঃ প্রচোদয়াৎ।।
৮) যাঁরা ইতোমধ্যে হাতের কব্জিতে হলুদ, লাল বা গেরুয়া রঙের সুতো পরেছেন, তাদের অবশ্যই কোনও কালো সুতো বাঁধা উচিত নয়।
৯) যেহেতু কালো সুতোটি শনি দেবতার প্রতীক, তাই অবশ্যই এটি গ্রহের গতিবিধি এবং দশা বিশ্লেষণ করার পরেই পরতে হবে।