এক বোতল কোল্ড ড্রিংকসই ১ ঘণ্টায় শরীরে করে জানলে আঁতকে উঠবেন
কলকাতা টাইমস :
প্রচন্ড গরমে সবারই প্রথম পছন্দ ঠাণ্ডা পানীয়। অনেকেই আবার সে জন্য ক্লোড ড্রিংস পান করে থাকে। অনেকেই আবার শীত-গ্রীষ্ম বা বর্ষাতেও কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করে থাকেন। কিন্তু, জানেন কি কার্বোনেটেড এই পানীয় আপনার শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটায়? শরীরে মুটিয়ে যায়, হাড় ভঙ্গুর করে তোলে, এমন অনেক কিছুই আমাদের জানা। কিন্তু, জানেন কি, হেরোইনের মতো নেশাগ্রস্ত করে তোলে যে কোনও ঠান্ডা পানীয়? সফট ড্রিঙ্কে গলা ভেজানোর পর প্রথম একঘণ্টায় কী ধরনের পরিবর্তন হয়, দেখুন একনজরে।
প্রথম ১০ মিনিটে
১০ চামচ চিনি আপনার শরীরিক ক্রিয়ায় আঘাত করে। আপনি সঙ্গে সঙ্গে বমি করে অতিরিক্ত চিনি শরীরের বাইরে বের করে দেবেন, সে উপায়ও নেই।
২০ মিনিট পর
ব্লাড সুগার বা রক্তে শর্করার মান দ্রুত বেড়ে যায়। যে কারণে অস্বভাবিক হারে ইনসুলিন নিঃসরণ হতে থাকে। সক্রিয় হয়ে ওঠে লিভার। সুগারকে ফ্যাটে পরিণত করে।
৪০ মিনিট পর
ততক্ষণে শরীরে ক্যাফেন শোষণ সম্পূর্ণ। রক্তে আরও বেড়ে যায় শর্করা। লিভারেও তা জমা হয়। যার ফলে মস্তিষ্কের অ্যাডেনোসিন রিসেপটর কাজে বাধা পায়। ঝিমুনি ভাব আসে।
৪৫ মিনিট পর
শরীরে ডোপামাইনের উত্পাদন বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কের সুখানুভূতি কেন্দ্রকে উত্তেজিত করে তোলে। ঠিক যে ভাবে হেরোইন কাজ করে।
৬০ মিনিট পর
সফট ড্রিঙ্কে থাকা ফসফরিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ককে ক্ষুদ্রান্তে জমা করে। মাত্রারিক্ত চিনি ও কৃত্রিম চিনির কারণে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে মূত্রের মাধ্যমে নির্গত হয়। ক্যাফিনের কারণে প্রসাবের বেগ আসে। পরে মলত্যাগের মাধ্যমে ক্ষুদ্রান্তে জমা হওয়া ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক বেরিয়ে যায়। আলসেমি কাজ করে।