লকডাউনে সম্পর্ক মজবুত হবে খাবারের জাদু
কলকাতা টাইমস :
কারো সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে অন্যতম উপায় হয়ে ওঠে খাবার। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কারো সঙ্গে বসে একই ধরনের খাবার খেলে আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততা তৈরি হয়। ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর গবেষকরা কয়েকটি ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে এ তথ্য দেন।
তাদের প্রথম গবেষণায় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী এক আগন্তুকের মুখোমুখি হন। তাদের মধ্যে বিশ্বস্ততা স্থাপনে ইনভেস্টমেন্ট গেম-এর ব্যবস্থা করা হয়। অংশগ্রহণকারীদের অর্থ দেওয়া হয় যা তারা আগন্তুককে প্রদান করবে। তবে এই বিনিয়োগ দ্বিগুণ হওয়ার শর্তে তা গ্রহণ করবেন আগন্তুক। এখানে বিশেষজ্ঞরা দেখতে চেয়েছেন, আগন্তুক কতটা প্রতারক হতে পারেন। অর্থাৎ তাদের মাঝে কতটা বিশ্বস্ততা অর্জিত হয়েছে।
এদের মধ্যে গুটিকয়েক জুটিকে এ কাজের আগে একই ক্যান্ডি খেতে দেওয়া হয়। অন্যদের দেওয়া হয় ভিন্ন ক্যান্ডি। দেখা গেছে, যারা একই ধরনের ক্যান্ডি খেয়েছেন তাদের মধ্যে আন্তরিক ভাব জমে উঠেছে।
দ্বিতীয় আরেক গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের কার্যক্রম নির্ধারণে পরস্পরের বিপরীতে বসিয়ে দেওয়া হয়। এ আলোচনার সময় কয়েকজনকে একই খাবার খেতে দেওয়া হয়। আবার ভিন্ন ভিন্ন খাবারও খেতে দেওয়া হয়। এখানেও দেখা গেছে, যারা একই ধরনের খাবার খেয়েছেন তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছেন।
প্রধান গবেষক ফিসব্যাচ বলেন, খাবার কৌশলগতভাবে মানুষের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে দিতে পারে। একই খাবার খেলে মানুষের মধ্যে বিশ্বস্ততার বন্ধন গড়ে ওঠে।
বড় ধরনের সভাকে সফল করতে হলে সবাইকে একই ধরনের খাবার সরবরাহকে কৌশল হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। এতে সবার মধ্যে আন্তরিকতা তৈরি হবে। একইভাবে কোনো সহকর্মী বা সঙ্গী-সঙ্গিনীর সাথে কোথাও খেতে বসলে একই ধরনের খাবার বেছে নেওয়া যেতে পারে।
খাদ্যপণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি কার্যকর। যেকোনো খাদ্যপণ্য এক দল মানুষের মধ্যে মার্কেটিংয়ের সময় যদি তা উপস্থিতদের খাওয়ানো যায়, তবে তার সম্পর্কে সবাই কার্যকর মন্তব্য করবেন।
একই খাবার যদি সম্পর্ক সুদৃঢ় করে, তবে অন্যান্য জিনিসের ক্ষেত্রেও একই ফলাফল পাওয়া যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন- একই রংয়ের পোশাক পরে থাকলে মানুষের মধ্যে একই ঘটনা ঘটে কিনা তাও দেখার পরিকল্পনা করছেন তারা।