৩ সেকেন্ডেই করোনা মারতে ‘আশ্চর্যজনক অস্ত্র’ এটি
কলকাতা টাইমস :
করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা, বেশি বেশি হাত ধোয়া, নাকে মুখে হাত না নেওয়া এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখাসহ অনেক নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
করোনা মোকাবেলায় এবার নতুন করে সাবান ব্যবহারের কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি কভিড-১৯ মোকাবেলায় সাবান বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আমেরিকার জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট দ্য সেন্টারস ফর ডিজিসেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলেছে, করোনাভাইরাস এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে ঘন ঘন হাত ধোয়া ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে টুইট করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ক্যারেন ফ্লেমিং।
কয়েকটি সিরিজ টুইটে তিনি দাবি করেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাবান একটি ‘আশ্চর্যজনক অস্ত্র’। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সাবানের চেয়ে কার্যকরী আর কিছুই নেই।
আরেকটি টুইটে এ দাবির সপক্ষে যুক্তি দেন ক্যারেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস এক ধরনের ‘সুপ্ত’ ভাইরাস। এর বাইরের অংশ ‘লিপিড মেমব্রেন লেয়ার’ দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ এটি চর্বিযুক্ত লেয়ার দিয়ে আবৃত। আর বারবার সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোওয়া হলে এর চর্বিযুক্ত আবরণ উঠে যাবে এবং ফলে ভাইরাস নিশ্চিত মারা যাবে।
কতক্ষণ ধরে হাত ধুতে হবে, সে কথাও জানিয়েছেন এই বিজ্ঞানী।
টুইটবার্তায় তিনি বলেন, কতক্ষণ ধরে সাবান ঘষতে হবে সে সময়টি এতই কম যে ঘড়ি ধরে না বলাই শ্রেয়। ধরুন কাউকে দুই বার ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ’ বলতে যে সময় লাগে অতটুকুন সময় নিয়ে হাতে সাবান ঘষবেন। এর পর তা ফেনাযুক্ত করে ধুয়ে ফেলবেন। প্রাণঘাতী করোনাকে মেরে ফেলতে এই সময়টুকুই যথেষ্ট।
অর্থাৎ ৩ সেকেন্ডেই করোনার জীবাণু মরে শেষ!
ক্যারেন এই টুইটি আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ক্যারেনের এসব টুইটে সমর্থন রয়েছে অনেক ভাইরোলজিস্টের।
তবে তারা বলেছেন, হাতের কাছে সাবান না পেলে এ ক্ষেত্রে হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যেখানে হাত ধোয়া হয়েছে অর্থাৎ ওয়াশরুমকেও ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া উচিত।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ এক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তা হলো– ছোঁয়াচে এই রোগটি যেন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে না সংক্রমিত হতে পারে সেজন্য আলিঙ্গন ও কোলাকুলিকে এড়িয়ে চলতে হবে। এক্ষেত্রে ‘হাই-হ্যালো’ তেই পারস্পরিক সৌজন্য বোধটুকু সারতে বলা হয়েছে।